এক ব্যক্তি ইব্রাহীম বিন আদহাম (র) কে বললেন,
তিনি রাতে তাহাজ্জুদ পড়তে উঠতে পারেন না।
তিনি তাহাজ্জুদ পড়তে চান।
ইব্রাহীম বললেন,
“ তুমি দিনে গুনাহ করো,তাই রাতে তাহাজ্জুদ পড়তে পারো না।
রাতে তাহাজ্জুদে দাঁড়ানো মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি সম্মান – যা গুনাহগারদের দেয়া হয় না। ”
বিখ্যাত তাবেঈন ‘ সুফিয়ান আস সাওরি রাহিমাহুল্লাহ ’ বলেন,
তিনি একবার টানা ৫ মাস তাহাজ্জুদ পড়তে পারেননি।
কারণ তিনি বলেছেন – তিনি গুনাহ করেছেন।
সুবহানাল্লাহ!
অথচ সুফিয়ান আস সাওরি রাহিমাহুল্লাহ ছিলেন উনার যুগের একজন শ্রেষ্ঠ বুযুর্গ!
এক ব্যক্তি হাসান আল বসরি রাহিমাহুল্লাহ
এর কাছে এসে বলল,
আমার ভাল ঘুম হয়, ভাল বিশ্রাম হয়, আমার কোন অসুস্থতা নেই।
কিন্তু এতো প্রস্তুতির পরও আমি শেষ রাতে ক্বিয়ামের জন্য দাঁড়াতে পারি না।
হাসান রাহিমাহুল্লাহ বললেন,
“ তোমার গুনাহ তোমাকে শৃঙ্খলিত করে রেখেছে।
তোমার দিনের গুনাহ , তোমাকে রাতের ক্বিয়াম থেকে বিরত রাখে।
দিনের গুনাহর ফলে একজন মুসলিম রাতের ক্বিয়ামের সম্মান থেকে বঞ্চিত হয়। ”
আবু জাফর রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
” আমি আহমাদ ইবন ইয়াহিয়ার রাহিমাহুল্লাহ এর কাছে গেলাম এবং দেখলাম তিনি কাঁদছেন।
আমি কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলাম।
আহমাদ বললেন,
– আমি তাহাজ্জুদ মিস করেছি।
আবু জাফর বললেন,
– ঠিক আছে।
আল্লাহ আপনাকে বিশ্রাম দিতে চেয়েছেন।
আবু জাফর বললেন,
– আমি যতই উনাকে সান্ত্বনা দিতে লাগলাম,তিনি ততই কাঁদতে লাগলেন।
আহমাদ বললেন,
– এটি আমার গুনাহের কারণেই হয়েছে।
ক্বিয়াম হল – আল্লাহর আহবানে সাড়া দেয়া।
আল্লাহর ডাকে আমরা কীভাবে সাড়া না দিয়ে থাকতে পারি?
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সবাইকে তাওফিক দান করুন।
– শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ