দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তাসকিন আহমেদ আগুন ঝরালেন। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার পাঁচ উইকেট শিকার করলেন ডানহাতি পেসার। তার বোলিং তোপে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে গেল অল্পতেই।
সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে বুধবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩৭ ওভারেই ১৫৪ রানে গুটিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের বিপক্ষে যা দলটির সর্বনিম্ন স্কোর। আগের সর্বনিম্ন ছিল ১৬২, মিরপুরে ২০১৫ সালে।
অর্থাৎ সিরিজ জিততে বাংলাদেশের চাই ১৫৫ রান। এ মাঠে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে বাংলাদেশ জিতেছিল ৩৮ রানে। পরে জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় ওয়ানডে ৭ উইকেটে জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে তিন ম্যাচ সিরিজে ফিরে ১-১ সমতা।
এদিন দিবারাত্রির ম্যাচটিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু বিনা উইকেটে ৪৬ রান থেকে ১৫৪ রানে অলআউট হয়েছে তারা। সেটাও ১৩ ওভার বাকি থাকতে।
কুইন্টন ডি কক ও জানেমান মালানের ৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটিটাই প্রোটিয়াদের সর্বোচ্চ। মালান দলীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেছেন। এ ছাড়া কেশভ মহারাজ ২৮ ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ২০ রান করেন।
তাসকিন ৯ ওভারে ৩৫ রান খরচায় নিয়েছেন ৫ উইকেট। এর আগে ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে নিজের অভিষেক ওয়ানডেতেই পাঁচ উইকেট শিকার করেছিলেন। দ্বিতীয়বার এই কীর্তি গড়তে প্রায় ৮ বছর লাগল তার।
সাকিব ৯ ওভারে ২৪ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
প্রথম ৬ ওভারে ৪০ রান তুলে বড় স্কোরের ইঙ্গিত দিচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে ডি কককে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মিরাজ। ৮ বলে ১২ রান করা ডি কক মিরাজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ হন মাহমুদউল্লাহর হাতে।
১৩তম ওভারে কাইল ভেরেইনকে নিজের প্রথম শিকার বানান তাসকিন। ১৬ বলে ৯ রান করা ভেরেইন বোল্ড হন। নিজের পরের ওভারে (১৫তম ওভার) জানেমান মালানকে উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করেন তাসকিন।
১৬তম ওভারে সাকিব আঘাত হানেন। এলবিডব্লিউ করে ফিরিয়ে দেন তেম্বা বাভুমাকে। ১১ বলে ২ রান করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ১৯তম ওভারে রাসি ভন ডার ডুসেনকে ফেরান শরিফুল। ১০ বলে ৪ রান করেন ডুসেন।
৮৩ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছিলেন ডেভিড মিলান ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। কিন্তু প্রিটোরিয়াসকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান তাসকিন। তাতে ১০৭ রানে ৬ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। ২৯ বলে ২০ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ হন প্রিটোরিয়াস।
২৯তম ওভারে ডেভিড মিলার ও কাগিজো রাবাদাকে ফিরিয়ে নিজের পাঁচ উইকেট পূরণ করেন তাসকিন। তাতে ১২৬ রানে ৮ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। মিলার ৩১ বলে ১৬ রান করেন। রাবাদা ৩ বলে ৪ রান করেন।
লুঙ্গি এনগিদিকে (০) সাকিব নিজের দ্বিতীয় শিকার বানালে ১৪৪ রানে ৯ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। পরে কেশভ মহারাজ রান আউট হয়ে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।