লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ এবার লালমনিরহাটে আলুর বাম্পার ফসল তোলা হয়েছে। এই উচ্চ ফলনশীল ও দেশি জাতের আলু স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে এবং রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষকরা বিক্রি করছেন। মৌসুমের শুরুতে আলুর ভাল দাম পেয়ে কৃষকরা খুশি। ইরি-বোরো ধানের চেয়ে আলুর চাষ বেশি লাভজনক হওয়ায় গত এক দশক ধরে লালমনিরহাটে আলুর চাষ বাড়ছে। পতিত জমিতেও আলু লাগানো হচ্ছে। আলু চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছেন। পাইকারি বাজারে প্রতিমণ (৪০ কেজি) আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ১,৫০০ থেকে ১৬,০০ টাকায়। এর হিসাবে, এটি প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলার ৫ টি ইউনিয়নে (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) ৪৫ টি ইউনিয়ন এবং ২ (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভা অঞ্চলে এই মৌসুমে আলু আবাদ করা হয়েছে। দেশি ছাড়াও উচ্চ ফলনশীল জাতের আলু উৎপাদন হচ্ছে। লালমনিরহাটের মাটি আলু চাষের উপযোগী হওয়ায় এই এলাকায় আলুর চাষ বাড়ছে। এরি-বোরো ধানের কৃষকরা কাঙ্ক্ষিত দাম পেতে না পেরে এখন আলু চাষের দিকে ঝুঁকছেন। আলু মৌসুম শুরু হয়েছে মার্চ থেকে। এক বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ 25 থেকে 30 টন আলু থাকে o মৌসুমের শুরু থেকে শেষ অবধি কৃষকরা এক বিঘা জমি থেকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করেন।
কৃষকদের মতে, এক বিঘা জমিতে আলু চাষে ব্যয় হয় প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।
কৃষকরা আরও বলেছিলেন, অন্যান্য সবজির তুলনায় আলুতে পোকামাকড়ের আক্রমণ কম। শ্রম ও সারের ব্যয়ও তুলনামূলকভাবে কম। গৃহিনীও সহজেই আলু বাছতে পারে। এটি শ্রমের ব্যয় সাশ্রয় করে। স্থানীয় বাজারে আনার পরে ব্যবসায়ীরা নগদ টাকায় আলু কিনে থাকেন। ফলস্বরূপ, কৃষকদের আলু বিক্রি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। লালমনিরহাট জেলার গোশালা বাজারে আলুর সর্বাধিক মজুদ রয়েছে।
কৃষকরা জানান, গত বছর আলুর দামও ভাল ছিল। এবারও তারা ভাল দামে আলু বিক্রি করছেন।
গরুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত মার্চ থেকে আলুর আমদানি শুরু হয়েছে। কৃষকরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভ্যান ও বস্তা বোঝাই করে গরু বাজারে আলু নিয়ে আসছেন বিক্রির জন্য।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুলতান সেলিম জানান, আশাব্যঞ্জক ও লাভজনক হওয়ায় এখানে আলুর চাষ বাড়ছে। আলুর ফলন আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে।