টুইটারের কেনার আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির আয়-ব্যয় নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করেছিলেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ব্যয় কমাতে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বেতন বন্ধ হতে পারে। একই সঙ্গে টুইট থেকে নিত্যনতুন উপায়ে আয় বাড়ানোর বিষয়টিও উঠে এসেছে।
সংশ্লিষ্ট তিন ব্যক্তির বরাত দিয়ে রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ১৪ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি কেনার প্রস্তাব দেন মাস্ক। এর কিছুদিন পর টুইটার কিনতে যেসব ব্যাংকঋণ দিতে একমত হয়েছে, তাদের কাছে ওই পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তিনি।
গত সোমবার এক বৈঠকে ইলন মাস্কের কাছে টুইটার বিক্রির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ। ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। এর আগে টুইটারের পূর্ণাঙ্গ মালিকানা পেতে ৪ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন মাস্ক।
টুইটারের আয় বাড়ানো নিয়ে ব্যাংকগুলোকে মাস্ক বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির যেসব কনটেন্টে (আধেয়) গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে ও ভাইরাল হয়, সেগুলো থেকে আয়ের নতুন সব কৌশল নিয়ে ভাবছেন তিনি। এর মধ্যে একটি হলো, কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার ভ্যারিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো ওয়েবসাইটে টুইট এমবেড করা হলে ওই ওয়েবসাইটকে এর জন্য অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
এদিকে টুইটারের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের বেতন বন্ধ নিয়ে সম্প্রতি একটি টুইট করেন মাস্ক। সেখানে তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ নেওয়া হলে প্রতিষ্ঠানটির ৩০ লাখ ডলার সাশ্রয় হবে। চলতি মাসের শুরুতে ‘টুইটার ব্লু’ সেবায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনার বিষয়েও একটি টুইট করেন তিনি। তবে পরে ওই টুইট ডিলিট (অপসারণ) করা হয়।
টুইটে মাস্ক বলেন, টুইটার ব্লু সেবার মূল্য কমানো যেতে পারে ও বিজ্ঞাপনহীন সেবা দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া এই সেবার মূল্য ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে পরিশোধের সুযোগ রাখার কথাও বলেন তিনি। বর্তমানে টুইটার ব্লু সেবার জন্য প্রতি মাসে ২ দশমিক ৯৯ ডলার খরচ করতে হয়।
অপর একটি টুইটে আয়ের জন্য বিজ্ঞাপনের ওপর টুইটারের নির্ভরশীলতা কমানো নিয়েও কথা বলেন ইলন মাস্ক। তবে সেটিও পরে ডিলিট করেন তিনি।
সূত্রগুলো থেকে পাওয়া তথ্য নিশ্চিত করতে মাস্কের প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করে রয়টার্স। তবে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ নিয়ে টুইটারের এক মুখপাত্রের কাছে জানতে চাইলে তিনিও বিষয়টি এড়িয়ে যান।