টিকটক ঘিরে যেভাবে অপরাধ বাড়ছে তাতে ছোট ভিডিও বানানোর অ্যাপটির বিষয়ে বিরক্ত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব। বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশ রূপান্তরকে জানান, সংসদীয় কমিটি কিংবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরবর্তী বৈঠকে এ বিষয়ে কথা বলবেন র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
টিকটক নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে নারী পাচার চক্রের বেশ কিছু সদস্য গ্রেপ্তার হওয়ার পর। অ্যাপটির মাধ্যমে তরুণীদের তারকা বানানোর প্রলোভন দিয়ে ভারতে পাচার করে আসছে ‘টিকটক হৃদয়ের’ মতো কয়েক জন তরুণ। ভুক্তভোগী এক বাংলাদেশি তরুণীকে আসামে নির্মম নির্যাতন করার পর ভিডিও ধারণ করে অনলাইনে ছড়িয়ে দেয় অপরাধীরা। তারপর দুই দেশের প্রশাসন চক্রটি ভাঙতে উঠে পড়ে লাগে। তদন্তে জানা যায়, কয়েক শ নারীকে পাচার করেছে বাংলাদেশি যুবকেরা!
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলছেন, ‘সামনের যেকোনো বৈঠকে আমাদের ডিজি মহোদয় এ বিষয়ে কথা বলবেন। তবে লিখিত কোনো প্রস্তাব নয়, তিনি তার বক্তব্যে বিষয়টি তুলে ধরবেন।’
দেশ রূপান্তর জানাতে পেরেছে, অ্যাপটি বন্ধ করতে না পারলেও নিয়ন্ত্রণ করা যায় কি না, সে বিষয়ে র্যাব প্রস্তাব দেবে।
এর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সরকার টিকটকের অ্যাকসেস বন্ধ করে দেয়। পরে ২০২০ সালের আগস্টে প্ল্যাটফর্মটির ১০টি ভিডিও সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ জানানো হয় কর্তৃপক্ষকে।