সারাদেশে অবৈধ ক্লিনিক ও হাসপাতাল বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কঠোর নির্দেশের পর নড়েচড়ে বসেছে টাঙ্গাইলের প্রশাসন।
শনিবার জেলা শহরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩ প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা ও আরো ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রানুয়ারা খাতুনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনার পরিচালক ড: শরিফুল ইসলাম ও জেলা সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিলগালা করা ক্লিনিকগুলো হচ্ছে শহরের সাবালিয়া এলাকার আমানত ক্লিনিক অ্যান্ড স্পেশালাইজড হসপিটাল, স্বদেশ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার ও পদ্মা ডিজিটাল ক্লিনিক। অভিযানের সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় এসব ক্লিনিক তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেয়া হয়।
এছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে দি সিটি ক্লিনিককে ২০ হাজার টাকা, কমফোর্ড হাসপাতালকে ৩০ হাজার টাকা ও ডিজি ল্যাবকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ডিজি ল্যাবে সিজারের রোগী থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করা হয়নি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেখান থেকে রোগী সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। এজন্য সময় বেধে দেয়া হয়েছে রোববার দুপুর পর্যন্ত। তখন ওই হাসপাতালটিও বন্ধ করে দেয়া হবে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রানুয়ারা খাতুন বলেন, বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তিনটি ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে। এছাড়া ডিজি ল্যাবে সিজারিয়ান রোগী থাকায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে রোববার দুপুর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। তারপর সেটাকেও সিলগালা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, টাঙ্গাইল জেলা সদরে ১৫টি ক্লিনিক অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে বাকিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।