বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল হলো আবারো। দেশের তিন নারীর হাত ধরে এলো বিরাট এক অর্জন। বাংলাদেশের তিনজন নারী বিজ্ঞানী এবারের ‘এশিয়ান সায়েন্টিস্ট ১০০’ এর তালিকায় স্থান পেয়েছেন। সিঙ্গাপুর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক ম্যাগাজিন’ এশিয়ান সায়েন্টিস্ট ‘ থেকে ষষ্ঠবারের মত এ তালিকা প্রকাশ পায় যেখানে জায়গা করে নেন তিন বাংলাদেশী ।
এই নারী বিজ্ঞানীরা হলেন, বাংলাদেশের বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি প্রাণি চিকিৎসা কেন্দ্র মডেল লাইভস্টক অ্যাডভান্সমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ডা. সালমা সুলতানা, আইসিডিডিআর এর এর সংক্রামক ব্যাধি বিভাগের সিনিয়র বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.সামিয়া সাবরিনা। তারা তিনজনই নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে পালন করে চলেছেন অনন্য ভূমিকা।
এশিয়ান সাইন্টিস্ট ম্যাগাজিনের ওয়েবসাইট অনুসারে, ডাঃ সুলতানাকে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র পর্যায়ের কৃষকদের সাথে কাজ করার জন্য বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার ফাউন্ডেশন কর্তৃক ফিল্ড রিসার্চ এবং আবেদনের জন্য ২০২০ সালের নরম্যান ই বোরলাগ পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছিল, বিশেষত ভেটেরিনারি প্রচার, চিকিৎসা এবং শিক্ষার সাথে জড়িত তার প্রচেষ্টার জন্য এ সম্মাননা পান।
ডাঃ ফিরদৌসী কাদরী জনস্বাস্থ্য গবেষণায় তাঁর ভূমিকার জন্য বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ (আইসিডিডিআর, বি) এর এমেরিটাস বিজ্ঞানী, প্রাথমিক রোগ নির্ণয় এবং গ্লোবাল টিকাদানের পক্ষে তার কাজকর্মের জন্য এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বাচ্চাদের সংক্রামক রোগ কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় তা নিয়ে গবেষণা করার জন্য তিনি ২০২০ সালের লরিয়েল-ইউনেস্কো ফর সায়েন্স অ্যাওয়ার্ড পান।
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) -এ ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সামিয়া সাবরিনা ন্যানো পার্টিকেল ব্যবহার ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণার জন্য উন্নয়নশীল দেশের আরলি ক্যারিয়ার উইমেন সাইন্টিস্ট জন্য সম্মানিত ২০২০ ওডব্লিউএসডি- এলসিভিয়ার ফাউন্ডেশন এওয়ার্ড পান।
এই তালিকায় মূলত তারাই স্থান পেয়েছেন যারা ইতোমধ্যে তাদের গবেষণার জন্য পূর্ববর্তী বছরে একটি জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পুরষ্কার পেয়েছেন এবং একই সাথে বিজ্ঞানীদের একাডেমিক লিডারশীপ গুনাগুন ও কোন গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার থাকতে হবে। বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, হংকং, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের বিজ্ঞানীরা এ তালিকায় রয়েছেন ।