জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত দুই-একদিনের মধ্যেই নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। এ বিষয়ে হিসাব-নিকাশ চলছে বলে জানান তিনি।
সোমবার (২৯ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের ওপর আমদানি শুল্ক কমানোর পরিপ্রেক্ষিতে মূল্য সমন্বয় করা হতে পারে। মূল্যের ক্ষেত্রে একটি পরিবর্তন আসবে। তবে এ ব্যাপারে হিসাব-নিকাশ চলছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্য আবারও বেড়ে যাওয়ায় কতটা সমন্বয় করা যাবে, এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
নসরুল হামিদ আরও বলেন, আমাদের অ্যাডভান্সড আয় করের ব্যাপারে তেল আমদানির সময় কিছু সুবিধা পাওয়া যেত। সেই সুবিধার কারণে আমরা চিন্তা করছি যে, হয়তো তেলের মূল্য কিছুটা সমন্বয় করতে পারব। সে বিষয়ে এখনো হিসাবটা যাচাই-বাছাই চলছে। আমরা আশা করছি, এখানে একটা পরিবর্তন আসতে পারে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। এরপর বিশ্ব অর্থনীতি সংকটের মধ্যে কীভাবে এই দাম কমানো যায় সেই পথ খুঁজতে শুরু করে সংশ্লিষ্টরা।
রোববার (২৮ আগস্ট) ডিজেলের আগাম কর মওকুফ এবং আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর ফলে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ও অন্য ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হ্রাসকৃত শুল্ক হারে ডিজেল আমদানি করতে পারবে। তবে যতটা শুল্ক কমানো হয়েছে তাতে লিটারে দুই টাকা দাম কমতে পারে বলে জানিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।