জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বলেন, পূর্ববিরোধের পাশাপাশি নবীন শিক্ষার্থীদের নিজ পক্ষে আনতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পক্ষের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথমে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার মালিটোলা পার্কে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন।
সংঘর্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঁচজনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। তাঁরা হলেন সভাপতি পক্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আবদুল বারেক, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শামসুল হুদা, খাইরুল আমান, ফিন্যান্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো. সাঈদ এবং সাধারণ সম্পাদক পক্ষের ইসলামিক স্টাডিজের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মেরাজ হোসাইন।
আহত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। তাঁদের মধ্যে দুজনকে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।ঘটনার বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসের বাইরে কেউ ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে মারামারি করলে তাঁর দায়ভার সংগঠন নেবে না।
সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি বলেন, ‘হামলায় জড়িত ব্যক্তিরা ছাত্রলীগের কর্মী হতে পারেন না। তাঁরা অনুপ্রবেশকারী। তাঁরা ছাত্রলীগকে কলুষিত করার চেষ্টা করছেন।’বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, মারামারিতে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।