জন্ডিস রোগটির কথা আমরা সবাই কমবেশি শুনেছি।জন্ডিস হলে যে চোখ, ত্বক হলুদ হয়ে যায় তা হয়তো আমরা জানি।কিন্তু কেন হয় সেই ব্যাপারে আমাদের বেশিরভাগেরই ধারণা নেই।আজকে আমরা জন্ডিস সম্পর্কে জানব।
জন্ডিস এমন একটি রোগ যেই রোগে আমাদের রক্তে প্রচুর পরিমাণে বিলিরুবিন জমা হয়।আর বিলিরুবিনের রং যেহেতু হলুদ,তাই রক্তে অতিরিক্ত পরিমাণে বিলিরুবিন জমা হওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশ হলুদ দেখা যায়।যেমন- ত্বক, চোখের স্ক্লেরা এবং মিউকাস মেমব্রেন।আমাদের দেহে বিলিরুবিনের সাধারণ পরিমাণ ০.৩-১ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার।কিন্তু বিলিরুবিন যখন ৩ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার এর চেয়ে বেড়ে যায় তখন জন্ডিস হয়।আর বিলিরুবিনের পরিমাণ যখন সাধারণের চেয়ে বেড়ে যায় কিন্তু ৩ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার এর চেয়ে কম থাকে তখন তাকে বলে সুপ্ত জন্ডিস।এক্ষেত্রে জন্ডিস মূলত হয়না।
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, এই বিলিরুবিন টা আবার কি?তাদের জন্য জানিয়ে রাখি-
আমাদের লোহিত রক্তকণিকা বা আরবিসি এর আয়ু ১২০ দিন।১২০ দিনের পরে এর ভাঙ্গন শুরু হয়।ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে এক পর্যায়ে আসে বিলিরুবিন।
জন্ডিসের শ্রেণীবিন্যাস দুই ধরনের:
১.প্যাথোফিজিওলজিকাল শ্রেণীবিন্যাস
২.ক্লিনিকোপ্যাথোলজিকাল শ্রেণীবিন্যাস
প্যাথোফিজিওলজিকাল শ্রেণীবিন্যাসের মধ্যে রয়েছে দুই ধরনের জন্ডিস-
*Predominantly unconjugated hyperbilirubinaemia
*Predominantly conjugated hyperbilirubinaemia
ক্লিনিকোপ্যাথোলজিকাল শ্রেণীবিন্যাসের মধ্যে রয়েছে তিন ধরনের জন্ডিস-
*হিমোলাইটিক/প্রিহেপাটিক জন্ডিস
*হেপাটোসেলুলার/হেপাটিক জন্ডিস
*অবস্ট্রাকটিভ/পোস্ট হেপাটিক জন্ডিস
কোনো ব্যক্তির জন্ডিস হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য দেখা হয় ব্যক্তির-
*চোখ (স্ক্লেরা)
*জিহ্বা
*নাক
*হাতের তালু
*পায়ের পাতা
©দীপা সিকদার জ্যোতি