কোভিড-১৯ মহামারিসহ সার্বিক ব্যয় মেটাতে ২০২০-২১ অর্থবছরে ছয় মাসে প্রায় ৬৪ হাজার (৬৩ হাজার ৮২৫) কোটি টাকা দেনা করেছে সরকার।
এর মধ্যে বিদেশ থেকে নেওয়া ঋণের হার হচ্ছে ৩০ শতাংশ। বাকি ৭০ শতাংশ হচ্ছে অভ্যন্তরীণ খাত (ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র, ট্রেজারি বিল) থেকে নেওয়া হয়েছে। ঋণ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অভ্যন্তরীণ খাত থেকে গত বছরের তুলনায় ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বেড়েছে।
তবে কমেছে বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও দেশ থেকে ঋণ নেওয়া হার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঋণ বুলেটিন থেকে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
ঋণ নেওয়ার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, অভ্যন্তরীণ এবং সার্বিক ঋণ গ্রহণ মাত্রার হার অর্থনীতিতে এখনো কম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। পাশাপাশি ঋণগ্রহণ ও পরিশোধকারী হিসাবে বাংলাদেশ শক্ত অবস্থানে আছে।
জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, বিদেশি ঋণ গত বছরের তুলনায় কম নেওয়ার কারণ হচ্ছে ঋণের অর্থ ব্যবহার করতে পারছি না। অর্থাৎ কাজ হচ্ছে না। যা অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক নয়।
তিনি আরও বলেন, দেশের রাজস্ব আদায়ের গতি ভালো নয়। অন্যদিকে করোনার কারণে নানা ধরনের প্রণোদনা কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিও চলছে। যে কারণে অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। তবে সার্বিক ঋণ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে আশঙ্কার কিছু নেই। বাজেট ঘাটতি ৬ শতাংশের বেশি হলেও সমস্যা হবে না।