চীনে মহাপ্রাচীর হারিয়ে যাচ্ছে দিন দিন। বর্তমানে ৩০ শতাংশ হারিয়ে গেছে এই প্রাচীর। ইউনেস্কোর ও বিশ্ব ঐতিহ্যের এই প্রাচীর প্রতিকূল প্রকৃতিক পরিবেশ ও মানুষের জন্য ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। চীনে মহাপ্রাচীর যে একটানা বিশাল লম্বা তা নয়। এটা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন অংশে ভাগ করা হয়েছে। এই প্রাচীর গোবি মরুভূমির থেকে জিয়াগুয়ান পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। পূর্ব উপকূলে সাংহাইগুয়ান এই চীনের প্রাচীর রয়েছে।
এই চীনে মহাপ্রাচীর ধ্বংস হওয়ার বড় কারণ হলো চুরি করে প্রাচীরে ইট দিয়ে বাড়ি বানানো জন্য ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে প্রাচীর। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে এই মহাপ্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।১৩৬৮ থেকে১৬৪৪ সালে সময় কালে মিং সাম্রাজ ছয় হাজার ৩০০ কিলোমিটার লম্বা এই প্রাচীর তৈরি করেছিলেন। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের উত্তর দিকে প্রাচীরের অংশ আছে। বেইজিংয়ে সবচেয়ে বেশি পর্যটক ঘুরতে যায়।
বেইজিং এর টাইমসের কোন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ১৯৬২ কিলোমিটার প্রাচীর গত কয়েক শতকে ধ্বংস হয়ে গেছে। এই প্রাচীরে অবস্থায় নিয়ে জরিপ করেছিল গ্রেট ওয়াল অব চায়না সোসাইটি গত বছরে। এই জরিপে বলা হয় প্রাচীরের গায়ে গাছ জন্মা নেওয়া ও অযত্নে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে চীনের মহাপ্রাচীর। সোসাইটির ভাইস প্রেসিডন্ট দং ইয়াওহুই বলেছেন, প্রাচীরে কিছু অংশ ইট ও পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল বলে অনেক গুলো প্রাচীর স্তম্ভ নড়বড়ে হয়ে গেছে। আর বছর ধরে ঝড়বৃষ্টি কারণে প্রাচীরে কিছু অংশ ধ্বংস হয়ে যায়।