চট্টগ্রাম নগরীতে নিজস্ব অর্থায়নে মেট্রোরেল বানিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে চীন সমুদ্র উপকূলে ৬০ বর্গকিলোমিটার জায়গায় বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বে স্মার্ট সিটি গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের এই প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর সুপারিশ করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠক সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বৈঠকে ‘সিসাইড বে ভিউ স্মার্ট সিটি’ (পতেঙ্গা থেকে মিরসরাই) এবং চট্টগ্রাম শহরে মাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) প্রকল্পের একটি রূপরেখা তুলে ধরে। বৈঠকে জানানো হয়, এই প্রকল্প নিয়ে চীন থেকে একটি প্রস্তাব পাওয়া গেছে। তারা নিজেদের খরচে মেট্রোরেল করে দেবে। বিনিময়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে মিরসরাই পর্যন্ত ৬০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে একটি স্মার্ট সিটি গড়ে তুলবে। সেখানে বাংলাদেশের অংশ কতটুকু থাকবে আর চীনের কতটুকু থাকবে, তা প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়নি। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই স্মার্ট সিটি গড়ে তোলার জন্য কোনো ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে না। সাগর থেকে জমি পুনরুদ্ধার (রিক্লেইম) করে এই শহর গড়ে তোলা হবে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যে রূপরেখা উপস্থাপন করেছে, তাতে বলা হয়েছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে এই প্রকল্প ১ দশমিক ১ থেকে ৩ শতাংশ অবদান রাখবে।
সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংসদীয় কমিটি কক্সবাজারে হোটেল নির্মাণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ‘সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ বা এসটিপি স্থাপন বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করে। সেই সঙ্গে এসটিপির ওপর কর কমানোর জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, বজলুল হক, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, আনোয়ারুল আশরাফ খান ও ফরিদা খানম বৈঠকে অংশ নেন।