সেঞ্চুরি পার হওয়ার আগে চারটি শীর্ষ অর্ডার উইকেট হারানোর বিপদে বাংলাদেশ।
লেখার সময় বাংলাদেশ ১৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৮১ রান তোলে। ওপেনার মুশফিকুর রহিম (২৭) ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১) ব্যাট করছেন। প্রথম ম্যাচেও টাইগাররা এই দু’জনের পঞ্চাশের দশকে লড়াইয়ের রাজধানী পেয়েছিল।
এটি শুরু হয়েছিল তামিম ইকবাল দিয়ে। ইনিংসের প্রথম ওভারে তিনি বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে 15 রান নিয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন। তবে টাইগারদের ড্যাশিং ওপেনার দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ড্রেসিংরুমে ফিরে যান। দুশমন্ত চামিরার বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হওয়ার আগে তামিম 7 বলে ২ টি চারে ১৩ রান করেছিলেন।
অধিনায়কের চলে যাওয়ার পরপরই স্কোরিং শুরুর আগে সাকিব আল হাসান ছুটি নিয়েছিলেন। একই ওভারের চতুর্থ বলে চামিরার বলে এলবিডব্লিউ ফাঁদে পড়েছিলেন দেশের সেরা অলরাউন্ডার। একই সাথে টাইগারদের টপ অর্ডারে দুটি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ওভারে কোনও রান দেয়নি শ্রীলঙ্কার এই ফাস্ট বোলার। চামিরা তার দ্বিতীয় ওভারে মেইডেনকেও নিয়েছিল।
তারপরে ওপেনার লিটন দাস ও মুশফিকুর দলের বিপর্যয় সামলানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে লক্ষ্মণ সান্দাকান ৪৯ ওভারে বাংলাদেশ শিবিরে আঘাত করেছিলেন। লিটন ৪২ বলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে আউট হন। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (১০) মোহাম্মদ মিঠুনের পরিবর্তে একাদশে যে সুযোগ পেয়েছিলেন তা কাজে লাগাতে পারেননি। সান্দাকান তাকে তাঁর দ্বিতীয় শিকার হিসাবে তুলে নিয়েছিল।
মঙ্গলবার শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দিয়ে শরিফুল ইসলাম তার ওডিআই অভিষেক হচ্ছে। এর আগে ১৯ বছর বয়সী এই ফাস্ট বোলার টি-টোয়েন্টি ও টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছিলেন।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। আহত তাসকিন আহমেদের জায়গায় শরিফুল ও মোহাম্মদ মিঠুনকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে দলে নেওয়া হয়েছে। তবে একাদশে পরিবর্তন আনেনি শ্রীলঙ্কা।
প্রথম ওয়ানডেতে লঙ্কানদের ৩৩ রানে পরাজিত করে সিরিজটি এগিয়েছে বাংলাদেশ। টানা 10 ম্যাচের পরে টাইগারদের এখন ইতিহাস গড়ার সুযোগ রয়েছে। তারা এই ম্যাচটি জিতলে বাংলাদেশ এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতবে। সেই সাথে ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে টাইগাররা।