সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় মুঠোফোনের মাধ্যমে ভুয়া প্রশ্নপত্র বিনিময় করে প্রতারণার অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে শহরের গ্রিনভিউ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে থেকে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
ওই ব্যক্তির নাম হায়াত মাহমুদ। তিনি নওগাঁ সদরের হাট শিবপুর মহল্লার নজরুল ইসলামের ছেলে। হায়াত মাহমুদ চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মিনারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে সম্প্রতি যোগদান করেছেন।
পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চন্দন কর বলেন, কেন্দ্রের বাইরে মুঠোফোনের মাধ্যমে ভুয়া প্রশ্ন বিনিময় করার সময় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সদস্যরা হায়াত মাহমুদকে আটক করেছে। পরে হায়াত মাহমুদকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। আটক হওয়া ব্যক্তি প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্য বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় কেন্দ্রের সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকশানা আহমেদের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। হায়াত মাহমুদ মুঠোফোনে থাকা প্রশ্নের সঙ্গে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের কোনো মিল পাওয়া যায়নি বলে তিনি দাবি করেন।
আটক অভিযানে থাকা এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, হায়াত মাহমুদ গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে স্কাই ভিউ ইন নামে স্থানীয় একটি হোটেলে ছিলেন। গ্রিনভিউ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে সামশুল আলম নামে হায়াতের এক বন্ধু পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। হায়াত মাহমুদের মুঠোফোনে দেখা গেছে, তিনি হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারের মাধ্যমে হাতে লেখা ৮০টি প্রশ্নের উত্তরের ছবি একাধিকজনের কাছে পাঠিয়ে এক লাখ টাকা করে দাবি করেন।
তবে আটকের সময় হায়াত মাহমুদ কাছে দাবি করেন, বন্ধুদের সঙ্গে ‘মজা’ করার জন্য তিনি মুঠোফোনে সন্দেহজনক বার্তাগুলো আদান–প্রদান করেছেন। আর পরীক্ষার্থী বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন।