জর্ডানের প্রাক্তন যুবরাজ বলেছেন, সমালোচনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার অংশ হিসেবে তাকে গৃহবন্দী করা হয়েছে।
জর্ডানের বর্তমান বাদশাহ আবদুল্লাহর সৎভাই প্রিন্স হামজা বিন হুসেইন। উকিল কতৃক বিবিসিকে পাঠানো একটি ভিডিও বার্তায় তিনি দেশটির নেতাদের বিরুদ্ধে দূর্নীতি,অক্ষমতা ও হয়রানির অভিযোগ করেছেন। জর্ডানে ‘অভ্যুত্থান পরিকল্পনার সাথে যুক্ত’ অভিযোগে বেশকিছু উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্ব গ্রেফতারের পর পরই উক্ত ভিডিওটি প্রকাশিত হলো। ইতিপূর্বে সেনাবাহিনী প্রিন্স হামজাহকে গৃহবন্দী করার বিষয়টি অস্বীকার করে। তবে বলা হয়েছিল, দেশের ‘শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা’ ক্ষতিগ্রস্থ করবে এমন কাজ থেকে তাকে বিরত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
কিছুদিন পূর্বে উপজাতি কিছু নেতার সাথে সাক্ষাৎ করেন প্রিন্স হামজাহ। সাক্ষাৎ শেষে তিনি বলেন, সেখানে তিনি কিছু সমর্থন পেয়েছেন। এরপর পরই তাকে এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হলো। প্রিন্স হামজাহ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি কোনো ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত নন।
শনিবারে প্রকাশিত ভিডিওতে তিনি বলেন, “আজ সকালে জর্দানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ জেনারেল স্টাফের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়। সেখানে তিনি আমায় জানান, আমার বাইরে যাওয়ার, লোকজনের সাথে যোগাযোগ করার বা সাক্ষাত করার অনুমোদন নেই। এর কারন হিসেবে বলা হয় আমি যে সভাগুলোতে উপস্থিত ছিলাম বা সোশ্যাল মিডিয়ায় আমি যে সফরগুলি করেছি সেখানে সরকার বা বাদশাহর সমালোচনা করা হয়েছে।”
প্রিন্স হামজাহ বলেন, তাকে সরাসরি সমালোচনার জন্য অভিযুক্ত করা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, “গত ১৫-২০ বছর ধরে ক্রমশ দেশের শাসনব্যবস্থায় অবনতি, দূর্নীতি এবং অযোগ্যতার জন্য আমি দায়ী নই। তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সাধারন মানুষের আস্থাহীনতার জন্যও আমি দায়ী নই।” তিনি জানান, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে কেউ কোনো কথা বললে নিজের মত প্রকাশ করলে তাকে সমালোচনা, গ্রেফতার, হয়রানি ও হুমকির শিকার হতে হয়।
মধ্য প্রাচ্যের অন্যতম প্রধান মিত্র জর্ডানে উচ্চ স্তরের রাজনৈতিক গ্রেফতারের ঘটনাটি বিরল। করোনাকালীন সময়ে দেশটির একটি শক্তিশালি গোয়েন্দাসংস্থাকে নতুন কিছু ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়, ডানপন্থীরা এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে। এদিকে মিশর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি রয়্যাল কোর্ট বাদশাহ আবদুল্লাহর পক্ষে সমর্থন দিয়েছে।
Reporter: N Hossain