গর্ভবতী মা রোজা রাখলে কি হয়? গর্ভবতী মা রোজা থাকতে পারবে কিনা? সব গর্ভবতী মা জানতে চায় যে রোজা থাকলে গর্ভের বাচ্চার কোন ক্ষতি হবে কিনা? আপনি যদি জানতে চান গর্ভবতী মা রোজা রাখলে কি হয় তাহলে আপনার জন্যই এই আর্টিকেলঅ পুরো আর্টিকেলটি পড়লে আপনি পুরোপুরি জানতে পারবেন যে গর্ভবতী মা রোজা রাখলে কি হয়।
গর্ভবতী মা রোজা রাখলে কি হয়
গর্ভবতী মা রোজা রাখলে কি হয় সেটিই ধর্মীয় ব্যখ্যা আছে আবার ডাক্টারি মতামদ একরকম আছে। আমরা আজ উবয়ই জানব যে গর্ভবতী মা রোজা রাখলে কি হয়। প্রথমে আমরা জানব ইসলাম কি বলে যে গর্ভবতী মা রোজা রাখলে কি হতে পারে? রোজা রাখতে পারবে কিনা? আবার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি হতে পারে? সব কিছু নিয়েই আজকের আর্টিকেল এন পুরোপুরি আলোচনা করছি যে গর্ভবতী মা রোজা রাখলে কি হয়।
ইসলামে গর্ভবতী মায়ের রোজা রাখার বিধান
ইসলামে গর্ভবতী মায়ের রোজা রাখার বিধান কি হতে পারে? ইসলামে গর্ভবতী মায়ের রোজা রাখার বিধান সম্পুর্ন নির্ভর করবে ইসলামে গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ ও গর্ভের বাচ্চার স্বাস্থ এর উপর। যেহেতু ইসলাম শান্তির ধর্ম, সেহেতু এই ধর্মে এমন কোন বিধান নাই যে বিধান পালন করলে মানুষের কোন ক্ষতি হবে। ইসলামে গর্ভবতী মায়ের রোজা রাখার বিধান কি হতে পারে তাহলে হাদিস থেকে জেনে নেই যে ইসলামে গর্ভবতী মায়ের রোজা রাখার বিধান কি হতে পারে।
ইসলামে গর্ভবতী মায়ের রোজা ফতোয়া
ইসলামে গর্ভবতী মায়ের রোজা ফতোয়া কি? চলুন জেসে নেই ইসলামে গর্ভবতী মায়ের রোজা ফতোয়া।
“গর্ভবতী নারীর উপরও রমজানের রোজা ফরজ; তবে রোজা রাখলে যদি নিজের স্বাস্থ্যহানি অথবা গর্ভস্থিত সন্তানের স্বাস্থ্যহানির আশংকা দেখা দেয় তাহলে তার জন্যে রোজা না-রাখার অবকাশ থাকবে এবং প্রসব করার পর নিফাস থেকে পবিত্র হয়ে এ রোজাগুলো কাযা করবে।”
তাহলে আসা করি বুঝতে পারছেন যে ইসলামে গর্ভবতী মায়ের রোজা রাখার বিধান কি হতে পারে। এটি আপনি যদি ভাল ঈমানদার হন, তাহলে নিজেই ঠিক করুন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী সবার অন্তরের ও শারীরিক খবর জানেন।
গর্ভবতী মায়েরা রোজা রাখতে পারবেন ডাক্টার কি বলে?
ডাক্টার কি বলে গর্ভবতী মায়েরা রোজা রাখতে পারবেন? ডাক্টার প্রায়ই একই কথা বলে। যেহেতু এটি ধর্মীয় ব্যাপার তাই কোন ডাক্টার জোর জুলুম করতে বলবে না। তবে রোজা রাখলে কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা আছে নাকি সেটি তারা বলতে পারবে।
তবে যেহেতু গর্ভবতী সময়টা অতি দীর্ঘ তাই আপনি কোন সময় পার করছেন সেটির উপর আপনি ঠিক করতে পারবেন যে আপনার রোজা রাখা ঠীক হচ্ছে না ঠিক হচ্ছে না। এটি আপনাকে ঠীক করতে হবে।
গর্ভবতী মায়েরা কখন রোজা রাখতে পারবেন?
গর্ভকালীন সময় এর উপর ভিত্তি করে গর্ভবতী মায়েরা কখন রোজা রাখতে পারবেন কিনা তা নির্ভর করে। গর্ভবতী মায়েরা কখন রোজা রাখতে পারবেন কিনা সেটি অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। তাই ঢালাউভাবে বলা যাবে না যে গর্ভবতী মায়েরা কখন রোজা রাখতে পারবেন না আর গর্ভবতী মায়েরা কখন রোজা রাখতে পারবেন।
তাই কখন রোজা কোন অবস্থায় রোজা রাখা যাবে কিংবা রোজা রাখা যাবেনা এর ভিত্তিতে গর্ভকালীন সময়কে তিনটি ভাগে ভাগ করে করা নিচে দেওয়া হলো ।
গর্ভের প্রথম তিন মাস কি রোজা রাখা যাবে?
গর্ভের প্রথম তিন মাস কি রোজা রাখা যাবে কি? গর্ভের প্রথম তিন মাস সময় যেহেতু গর্ভবতী মায়ের শরীর থেকেই গর্ভের শিশু তাঁর প্রয়োজনীয় জিনিস পায় সেহেতু এসময় গর্ভবতী মায়ের দেহে কোনো কিছুর অভাব ঘটলে পরবর্তী জীবনে শিশুর জীবনে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় অনেক মায়ের প্রেশার বা রক্তচাপ বেড়ে যায়।
গর্ভের প্রথম তিন মাস সময় তাঁকে নিয়মমতো কিছু ওষুধ খেতে হয়। রোজা রাখলে ওষুধ খাওয়ার ব্যত্যয় ঘটে। তাছাড়া গর্ভের প্রথম তিন মাসে যেহেতু গর্ভবতী মায়েদের বেশী বমি বমি ভাব হয়, মাথা ঘুরায়, খেতে কষ্ট হয় ও ওজন কমে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে তাই গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাস রোজা না রাখাই ভালো।
গর্ভের মধ্যবর্তী তিন মাস কি রোজা রাখা যাবে?
গর্ভের মধ্যবর্তী তিন মাস কি রোজা রাখা যাবে?গর্ভকালীন মাঝের তিন মাস সত্যি করে বলতে কিছুটা রিলাক্স থাকে। গর্ভের মধ্যবর্তী তিন মাস কি রোজা রাখা যাবে কি? কারণ মধ্যবর্তী তিন মাসে গর্ভবতী মায়েরা একটু আগের চেয়ে ভালো অনুভব করেন। আর গর্ভকালীন মাঝের তিন মাস সময়ের মধ্যেই বাচ্চাটির গঠনও তৈরি হয়ে যায়।
তাই ইচ্ছা করলে রোজা দিতে পারবেন। তারপরও যদি অন্য কোনো সমস্যা না থাকে এ সময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভবতী মা রোজা রাখতে পারেন। তবে আবহাওয়ার দিকে খেয়াল রাখবেন যে দিন ছোট থাকার কারণে শীতকালে কষ্ট কম হয় বলে এসময় গর্ভবতী মায়েরা রোজা রাখতে পারেন। তবে গরমের সময় হলে নিয়ে রোজা না রাখাই উত্তম। আর যাঁদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, সেই সব গর্ভবতী মায়েরা রোজা না রাখা ভালো।
গর্ভের শেষ তিন মাস কি রোজা রাখা যাবে?
গর্ভের শেষ তিন মাস কি রোজা রাখা যাবে কিনা? সেটিই অনেক গুরুত্বপুর্ণ প্রশ্ন। কারণ শেষের তিন মাস গর্ভবতী মাকে খুবই সতর্ক হয়ে থাকে। যেহেতু গর্ভের শেষ তিন মাস সময় মায়ের পেটে বাচ্চা দ্রুত বাড়ে তাই গর্ভবতী মা ও তাঁর অনাগত সন্তানের পুষ্টি নিশ্চিত করতে গর্ভের শেষ তিন মাস গর্ভবতী মায়েরা পর্যাপ্ত খাবার ও বিশ্রাম নেয়ার ব্যবস্থা করে । তাই গর্ভের শেষ তিন মাস সময় রোজা না রাখাই উত্তম। তাই গর্ভের শেষ তিন মাস কি রোজা রাখা যাবে না। কিংবা না রাখাই উত্তম।
গর্ভবতী মায়েরা রোজা রাখতে পারবেন ডাক্টার কি বলে?
ডাক্টার কি বলে গর্ভবতী মায়েরা রোজা রাখতে পারবেন? ডাক্টার প্রায়ই একই কথা বলে। যেহেতু এটি ধর্মীয় ব্যাপার তাই কোন ডাক্টার জোর জুলুম করতে বলবে না। তবে রোজা রাখলে কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা আছে নাকি সেটি তারা বলতে পারবে।
তবে যেহেতু গর্ভবতী সময়টা অতি দীর্ঘ তাই আপনি কোন সময় পার করছেন সেটির উপর আপনি ঠিক করতে পারবেন যে আপনার রোজা রাখা ঠীক হচ্ছে না ঠিক হচ্ছে না। এটি আপনাকে ঠীক করতে হবে।
গর্ভবতী মায়েরা কখন রোজা রাখতে পারবেন?
গর্ভকালীন সময় এর উপর ভিত্তি করে গর্ভবতী মায়েরা কখন রোজা রাখতে পারবেন কিনা তা নির্ভর করে। গর্ভবতী মায়েরা কখন রোজা রাখতে পারবেন কিনা সেটি অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। তাই ঢালাউভাবে বলা যাবে না যে গর্ভবতী মায়েরা কখন রোজা রাখতে পারবেন না আর গর্ভবতী মায়েরা কখন রোজা রাখতে পারবেন।
তাই কখন রোজা কোন অবস্থায় রোজা রাখা যাবে কিংবা রোজা রাখা যাবেনা এর ভিত্তিতে গর্ভকালীন সময়কে তিনটি ভাগে ভাগ করে করা নিচে দেওয়া হলো ।
গর্ভের প্রথম তিন মাস কি রোজা রাখা যাবে?
গর্ভের প্রথম তিন মাস কি রোজা রাখা যাবে কি? গর্ভের প্রথম তিন মাস সময় যেহেতু গর্ভবতী মায়ের শরীর থেকেই গর্ভের শিশু তাঁর প্রয়োজনীয় জিনিস পায় সেহেতু এসময় গর্ভবতী মায়ের দেহে কোনো কিছুর অভাব ঘটলে পরবর্তী জীবনে শিশুর জীবনে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় অনেক মায়ের প্রেশার বা রক্তচাপ বেড়ে যায়।
গর্ভের প্রথম তিন মাস সময় তাঁকে নিয়মমতো কিছু ওষুধ খেতে হয়। রোজা রাখলে ওষুধ খাওয়ার ব্যত্যয় ঘটে। তাছাড়া গর্ভের প্রথম তিন মাসে যেহেতু গর্ভবতী মায়েদের বেশী বমি বমি ভাব হয়, মাথা ঘুরায়, খেতে কষ্ট হয় ও ওজন কমে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে তাই গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাস রোজা না রাখাই ভালো।
গর্ভের মধ্যবর্তী তিন মাস কি রোজা রাখা যাবে?
গর্ভের মধ্যবর্তী তিন মাস কি রোজা রাখা যাবে?গর্ভকালীন মাঝের তিন মাস সত্যি করে বলতে কিছুটা রিলাক্স থাকে। গর্ভের মধ্যবর্তী তিন মাস কি রোজা রাখা যাবে কি? কারণ মধ্যবর্তী তিন মাসে গর্ভবতী মায়েরা একটু আগের চেয়ে ভালো অনুভব করেন। আর গর্ভকালীন মাঝের তিন মাস সময়ের মধ্যেই বাচ্চাটির গঠনও তৈরি হয়ে যায়। তাই ইচ্ছা করলে রোজা দিতে পারবেন।
তারপরও যদি অন্য কোনো সমস্যা না থাকে এ সময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভবতী মা রোজা রাখতে পারেন। তবে আবহাওয়ার দিকে খেয়াল রাখবেন যে দিন ছোট থাকার কারণে শীতকালে কষ্ট কম হয় বলে এসময় গর্ভবতী মায়েরা রোজা রাখতে পারেন। তবে গরমের সময় হলে নিয়ে রোজা না রাখাই উত্তম। আর যাঁদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, সেই সব গর্ভবতী মায়েরা রোজা না রাখা ভালো।
গর্ভের শেষ তিন মাস কি রোজা রাখা যাবে?
গর্ভের শেষ তিন মাস কি রোজা রাখা যাবে কিনা? সেটিই অনেক গুরুত্বপুর্ণ প্রশ্ন। কারণ শেষের তিন মাস গর্ভবতী মাকে খুবই সতর্ক হয়ে থাকে। যেহেতু গর্ভের শেষ তিন মাস সময় মায়ের পেটে বাচ্চা দ্রুত বাড়ে তাই গর্ভবতী মা ও তাঁর অনাগত সন্তানের পুষ্টি নিশ্চিত করতে গর্ভের শেষ তিন মাস গর্ভবতী মায়েরা পর্যাপ্ত খাবার ও বিশ্রাম নেয়ার ব্যবস্থা করে । তাই গর্ভের শেষ তিন মাস সময় রোজা না রাখাই উত্তম। তাই গর্ভের শেষ তিন মাস কি রোজা রাখা যাবে না। কিংবা না রাখাই উত্তম।
গর্ভবতী মা রোজা রাখলে সমস্যা কি কি হতে পারে?
গর্ভবতী মা রোজা রাখলে সমস্যা কি কি হতে পারে? অনেকেই জানতে চায় আমি আমার জীবনের শেষ রোজা টা দিতে চাই যদি এই গর্ভ অবস্থায় মারা যাই। গর্ভবতী মা রোজা রাখলে সমস্যা তেমন কোন হয় না। গর্ভবতী মা রোজা রাখলে সমস্যা কি কি হতে পারে তার থেকে বাচতে চাইলে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন। যেমন গর্ভাবস্থায় গুরুপাক, ভারি, ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত ও বাসি খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
গর্ভবতী মা ইফতার ও সেহেরিতে বেশী পরিমাণে পানি পান করুন। আর কোন অবস্থাতেই সেহরি না খেয়ে রোজা রাখার চেষ্টা করবেন না তাতে আপনার শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে আপনার গর্ভের বাচ্চারও ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা আছে। চেষ্টা করবেন গর্ভাবস্থায় বেশি আঁশযুক্ত, বেশী প্রোটিনযুক্ত ও বেশী ফ্যাটসম্পন্ন খাবার গ্রহণ করুন যাতে এসব উপাদান ধীরগতিতে পরিপাক হয় বিধায় ক্ষুধা কম লাগবে। রোজার সময় গর্ভবতী মা রোজা রাখলে বেশি বিশ্রাম নিন আর দুশ্চিন্তা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। গর্ভবতী মা রোজা রাখলে পরিমিত চিনিযুক্ত ও জাউ ভাত খাবার খেতে পারেন।
গর্ভবতী মা রোজা রাখলে অনেকক্ষণ রোদে কিংবা গরমে অবস্থান না করে বাতাস আছে এমন খোলামেলা পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন। আর পারলে রাতে খাবারের পর বিশ্রাম নিয়ে হাঁটাহাঁটি করুন সেটি আপনার স্বাস্থের জন্য ভাল।