আজকের সমাজটায় চরম অধঃপতন হয়ে গেছে। একদিকে দারিদ্রের চরম পর্যায়ে কিছু মানুষ খাইতে না পেরে সাহায্যের জন্য অন্যের দ্বারপ্রন্তে হয়। অপর দিকে কিছু সুবিধাভোগী মানুষ সাহায্যের নামে ফটো সেশন প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় একটি ব্যতিক্রম উদ্যেগ নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি।
সমাজে বসবাসকৃত অতি বৃদ্ধ অসুস্থ্য অসহায় সম্বলহীন পূর্বসূরি গোষ্ঠী যাদের যৌবনের মেধা, শারীরিক শক্তি, অক্লান্তপরিশ্রম প্রয়োগের মাধ্যমে গঠিত আজকের এই সুযোগ্য বাসভুমিতে বসবাস করে শান্তির নিঃশ্বাস ফেলছি অথচ তারা আজ অবহেলিত চিকিৎসাবিহীন মানবেতর জিবন যাপন করছে।
জানা গেছে, রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার শিবু নামক স্থানে তাদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি চিরস্থায়ী করতে মানবতার সেবায় উদ্দিপ্ত সামাজিক দায়বদ্ধতার তাড়নায় কিছু যুবক নিজস্ব অর্থায়নে হতে যাত্রা শুরু করে আশপাশের এলাকার দরিদ্র অসহায় অতিশয় বৃদ্ধ অসুস্থ্য ব্যক্তিদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে সহোযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।আমরা জানতে পেরেছি যে এমন অন্ততঃ ৭০ জনকে এযাবত কিছু খাবার ও চিকিৎসা প্রয়োজনে কিছু আর্থিক সহোযোগিতা করা হয়েছে।
আমরা আগামী পরিকল্পনা জানতে চাইলে, আগামী রমজান এবং ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তারা। এ কাজে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে পরিচালনা করছেন জনাব মোঃ জয়নুল আবেদিন। নিজস্ব আর্থিক সহোযোগিতা করছে তারই ঘনিষ্ঠ কিছু বন্ধু এবং সমাজের কিছু বড় ভাই ছোটভাইসহ হিতাকাঙ্ক্ষী।
সহোযোগি সকলেরই কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা থাকা স্বত্তেও শুধুমাত্র সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই একাজে সহোযোগিতা করে আসছে। আজ আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় সন্তানরা নিজেদের সংসারের খরচ সামলিয়ে বৃদ্ধ অসুস্থ বাবা মায়ের জন্য কিছু করতে পারছে না। আবার কেউ কেউ সুশিক্ষার অভাবে শুধু নিজের ছেলেমেয়ে স্ত্রীকে নিয়ে এতই ব্যস্ত থাকে যে বাবা মায়ের খোঁজখবর নেয়ার সময়ই পায় না।
আজ যদি বাংলাদেশের সকল গ্রামে এমন যুবক সম্প্রদায় মানব সেবায় এগিয়ে আসতো তবে সত্যিই আমাদের প্রকৃতিতে আর অবহেলিত-উপেক্ষিত অসহায় বৃদ্ধ বাবা মায়ের চাপা আর্তনাদে বাতাস এতো ভারি হতো না।