চুল পড়ার চিন্তায় ‘চুল পড়া’ আরও বেড়ে যায়! চুল পড়া ঠেকাতে কত কিছুই না করা হয়। কিন্তু চুল পড়লেই তাতে ভয়ের কিছু নেই। প্রতিদিন ১০০টি চুল পড়াকে স্বাভাবিক হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। তবে এর চেয়ে বেশি চুল পড়া চিন্তার বিষয়; এতে একসময় মাথায় টাকও পড়তে পারে।
বর্তমান সময়ে চুলপড়ার সমস্যায় ভুগছেন অনেকে। এই চুলপড়া বন্ধ করতে কত কিছুই না করছেন আপনি। তবে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আছে ঘরোয়া সমাধান।
যা খাবেন :
প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনসমৃদ্ধ ও আঁশজাতীয় খাবার খেতে হবে। শাকসবজি ও তাজা ফল খান প্রতিদিন। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার রাখুন। অ্যাভোকাডো, ডিম, গাজর এগুলো থেকে পাবেন এই উপাদান।
প্রতিদিন চুল ধোবেন না । প্রতিদিন চুলে পানি লাগাবেন না। দুই দিন পর একদিন চুল ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে।
চুল পড়া রোধে করণীয়:
পেঁয়াজের রস:
চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রস দারুণ কাজ করে। শুধু চুল পড়া বন্ধ হবে, তাই নয় নতুন চুল গজাবেও। গোসলের এক ঘণ্টা আগে পেঁয়াজের রস চুলের গোঁড়ায় ঘষে ঘষে লাগান। এরপর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আমলকী:
চুলের গোঁড়ায় আমলকীর তেল ঘষে ঘষে লাগান। আধা ঘণ্টা রাখুন; তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
মেথি:
আধা কাপ মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে বেটে চুলে লাগান। ১ ঘণ্টা পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ডিমের কুসুম:
ডিমের কুসুম ভালো করে ফেটিয়ে নিন। চুলের গোঁড়ায় গোঁড়ায় তা লাগান। এরপর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
নারকেল তেল:
নারকেল তেল সামান্য গরম করে চুলের গোঁড়ায় ম্যাসাজ করুন। ১ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।
এসেনশিয়াল অয়েল :
টি ট্রি অয়েল, ল্যাভেন্ডার অয়েল বা রোজমেরি অয়েল ব্যবহার করুন নিয়মিত। শ্যাম্পু অথবা হেয়ার প্যাকের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে ব্যবহার করুন এসব এসেনশিয়াল অয়েল।
হট অয়েল ট্রিটমেন্ট
কয়েক ধরনের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে গরম করে নিন। কুসুম গরম তেল চুলে ম্যাসাজ করুন। একটি তোয়ালে গরম পানিতে ডুবিয়ে নিংড়ে নিন। চুল জড়িয়ে রাখুন গরম তোয়ালে দিয়ে। ১৫ মিনিট পর তোয়ালে খুলে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। চুল ধুয়ে ফেলুন ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে।