পাথর ভাঙার কাজ করতে গিয়ে কয়েক দিন আগে ‘খেলনাসদৃশ’ একটি বস্তু পেয়েছিলেন জ্যোৎস্না বেগম। ছেলে খেলবে, এই ভেবে বাড়িতে নিয়ে আসেন। খেলতে খেলতে তারে জড়ানো সেই বস্তুটিতে আজ মুঠোফোনের ব্যাটারি যুক্ত করছিল ছেলে জুয়েল মিয়া (১০)। এ সময় সেটি বিস্ফোরিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে জুয়েলের।
শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার মোহম্মদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জুয়েল ওই গ্রামের ময়না মিয়ার ছেলে। সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ে ভারত থেকে আমদানি করা আনা পাথর ভাঙার কাজ করেন ময়না মিয়া ও তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না। সম্প্রতি কাজ করতে গিয়ে কুড়িয়ে পাওয়া খেলনাসদৃশ বস্তু বাড়িতে নিয়ে ছেলেকে খেলতে দেন জ্যোৎস্না। ওই বস্তুতে তার জড়ানো ছিল। ময়না মিয়ার ছেলে জুয়েল ওই তারে মুঠোফোনের একটি ব্যাটারি সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছিল। এতে হঠাৎই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে জুয়েলের মুখ গভীরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এ সময় বাবা–মাসহ আশপাশের প্রতিবেশীরা এগিয়ে গিয়ে দেখতে পান, রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে জুয়েল। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়াইনঘাট থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, পাথরশ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে আমদানি করা পাথরের সঙ্গে প্রায়ই বিস্ফোরকজাতীয় বস্তু চলে আসে। যেগুলো পাথর ভাঙার কাজে ব্যবহৃত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এমন বিস্ফোরক শিশুটির হাতে বিস্ফোরিত হয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি বিস্তারিত তদন্ত করা হচ্ছে। পরে লাশ উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।