খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ কার্যক্রম নিয়ে চলমান তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন নিয়োগের উদ্যোগ থেকে বিরত থাকতে বলেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রারকে এক চিঠি পাঠানোর হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নিয়ে ১৭ অক্টোবর ২০২০ সালে দেশ রূপান্তরের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘স্ত্রী-ছেলে-মেয়েকে নিয়োগ দিতে মরিয়া ভিসি শহীদুর’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এরপর তদন্তে নামে ইউজিসি।
চিঠিতে বলা হয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ কার্যক্রম পর্যালোচনা ও তদন্ত করার জন্য বর্তমানে ইউজিসির একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে এবং কমিটি শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।গত বছরের ৪ নভেম্বর ও ৯ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা চিঠির নির্দেশনা প্রতিপালন এবং ইউজিসির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের আগে কোন ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা সমীচীন নয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা ইউজিসি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের মুখে গত বছর খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের কার্যক্রম স্থগিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটিও গঠন করা হয়। কিন্তু এর মধ্যেই ১৭ থেকে ১৮ জানুয়ারি ও ২০ থেকে ২৩ জানুয়ারি বিভিন্ন পদে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের জন্য পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।এ বিষয়ে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার বলেন, ইউজিসির চিঠি হাতে পেয়েছি। সেই নির্দেশনা মতেই নিয়োগ বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম।