ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের রাস্তায় রাস্তায়ও দেশটির সেনাদের সঙ্গে রুশ সেনাদের লড়াই চলছে। স্থানীয় সময় আজ রোববার রুশ সেনারা শহরটিতে ঢুকে পড়ার পর দুপক্ষের মধ্যে লড়াই শুরু হয়। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এসব তথ্য জানিয়েছে।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, খারকিভ শহরের রাস্তায় রুশ সেনাবাহিনীর কিছু ইউনিট অবস্থান করছে। রুশ বাহিনীর দুটি হালকা ধরনের সাঁজোয়া যান পুড়িয়ে দেওয়ার ছবিও দেখা গেছে। তবে এসব ছবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি বলে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
এর আগে আজ সকালে খারকিভে ঢুকে পড়ে রুশ সেনারা। খারকিভের আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান ওলেগ সিনেগুবোভ তখন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হালকা ধরনের সামরিক যান শহরের ভেতরে ঢুকে পড়েছে।’স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে অবস্থানের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে যাবেন না। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী শত্রুদের তাড়াচ্ছে। সাধারণ নাগরিকদের রাস্তায় না নামার জন্য জন্য অনুরোধ করছি।’বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওলেগের বিবৃতির কিছু সময় আগে এক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, খারকিভের রাস্তায় রুশ সামরিক যান ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এর এক ঘণ্টা আগে খারকিভ ও দক্ষিণ-পূর্বের শহর খেরসনে নতুন বিস্ফোরণ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এরও কয়েক ঘণ্টা আগে খারকিভের একটি গ্যাস পাইপলাইনে রকেট হামলার খবর প্রকাশ করে বিবিসি।এদিকে আজ সকালে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বিমান হামলাজনিত সতর্কসংকেত বাজতে শোনা গেছে। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা বিস্ফোরণের শব্দ শোনার কথাও জানিয়েছেন। কিয়েভের স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছেন। কাল সোমবার সকাল পর্যন্ত শহরে কারফিউ জারি থাকবে খারকিভে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের বসবাস। শহরটির অবস্থান রুশ সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে।