মালয়েশিয়ায় আটক সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
খায়রুজ্জামানের পক্ষে করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে কুয়ালালামপুরের একটি আদালত শুক্রবার এই নিষেধাজ্ঞা দেন।
রিটের ওপর শুনানি সোমবার নির্ধারণ করতে পারেন কুয়ালালামপুরের ওই আদালত।
খায়রুজ্জামানের আইনজীবী এএস ঢালিওয়াল ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের কাছে দাবি করেন, তার মক্কেল (খায়রুজ্জামান) একজন রাজনৈতিক শরণার্থী। তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচিআর) কার্ডধারী। তিনি কোনো অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করেননি। তাকে আটক করা বেআইনি। তাকে বহিষ্কার করার অধিকার মালয়েশিয়ার নেই।
গত বুধবার খায়রুজ্জামান আটক করা হয়। তিনি এখন অভিবাসন সেলে রয়েছেন। খায়রুজ্জামানের গ্রেপ্তারের পর সামনে এসেছে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বরের জেলহত্যা মামলার বিষয়টি।
এর আগে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর খায়রুজ্জামান জেলহত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এরপর বিএনপি জামায়াত-জোট সরকারের সময় তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে চাকরিতে যুক্ত হন।
সর্বশেষ ২০০৭ সালের আগস্টে তিনি মালয়েশিয়ায় প্রথম শ্রেণির হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে তাকে মালয়েশিয়া থেকে ফেরার নির্দেশ দিলেও তিনি ফিরে আসেননি।
খায়রুজ্জামানকে মালয়েশিয়া থেকে ফিরিয়ে আনতে সরকারের তরফ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দিবিনিময় চুক্তি না থাকায় কীভাবে তাকে ফিরিয়ে আনা যায়, সে বিষয়ে কূটনৈতিক ও আইনি বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, সরকারপক্ষ থেকে চলতি সপ্তাহেই খায়রুজ্জামানকে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। তারা বলছেন, মালয়েশিয়ার সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তি না থাকায় কিছুটা জটিলতা রয়েছে।