মাঝে মাঝে একটু নিজেকে লিখতে হয়। নিজের কাছে নিজেকে চেনাতে হয়। আমরা যা বলতে পারি না তা লিখতে পারি। নিজেকেও অনেককিছু বলা হয়ে ওঠে না। তাই সেসব কথা লিখে জানাতে হয়।
কিন্তু আসলেই কি নিজেকে সবকিছু বলা অথবা লিখা যায়? নিজের কাছে কি কিছুই আড়াল করার মত থাকে না? আয়নাতে যখন নিজেকে দেখা যায় তারমানে কি নিজেকে আসলেই দেখা? নাকি শুধু নিজের অবয়ব দেখা সেটা?
আমার আসল ‘আমি’কে তাই আমি দেখতে পাই না, জানতে পারি না। না, আমি নিজেকে চিনি না। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা নিজেদের চিনতে পারি না। আর চিনতেই যখন পারলাম না তখন কি করে নিজেকে সবকিছু বলবো? লিখবো?
জগতের সব অচেনাকে, অজানাকে আবিষ্কারের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতে থাকতে আমরা ভুলেই যাই যে, জগতে একটা অচেনা ‘আমিও’ রয়েছে। আর সেই অচেনা আমিকে চেনার চেষ্টা আমরা করি না। নিজেকে সময় দেয়া, নিজের সাথে কথা বলা এসব কিছু আমরা ভুলে যাই। একদিন হয়তো হঠাৎ করে মনে পড়বে এই ‘অচেনা আমি’ কে। সেই দিন কি পারবো ঔ ‘আমিকে’ সবকিছু বলতে, জানাতে? চিঠি লিখতে?
‘অচেনা আমি’র ঠিকানাও ত অচেনাই রয়ে গেছে। তবে কোন ঠিকানায় লিখবো চিঠি?