বিভিন্ন ঘটনায় আমাদের রক্তপাত হয়।ক্ষত খুব গুরুতর না হলে কিছুক্ষণ পরে নিজে থেকেই রক্তপাত বন্ধ হয়।অর্থাৎ রক্ত জমাট বেঁধে রক্তপাত থামে।আমাদের শরীরে এটি নিজে থেকেই হয়।বাহ্যিক কোনো ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়না।কিভাবে এটি হচ্ছে তা নিয়ে আমরা কখনো ভেবে দেখেছি কি?
যারা জানিনা তারা আজকেই জেনে নেব কিভাবে এটি হচ্ছে।
আমাদের রক্ত জমাট বাঁধার জন্য অনেকগুলো ফ্যাক্টর বা উৎপাদক রয়েছে।সাধারণত তেরটি ফ্যাক্টরকে মূল হিসেবে ধরা হয়।সেগুলো হলো-
১.ফাইব্রিনোজেন
২.প্রোথ্রোম্বিন
৩.টিস্যু থ্রম্বোপ্লাস্টিন
৪.ক্যালসিয়াম
৫.ল্যাবাইল ফ্যাক্টর
৬.(এটির অস্তিত্ব নেই)
৭.স্ট্যাবল ফ্যাক্টর
৮.এন্টিহিমোফিলিক ফ্যাক্টর
৯.ক্রিসমাস ফ্যাক্টর
১০.স্টুয়ার্ট ফ্যাক্টর
১১.এন্টিহিমোফিলিক ফ্যাক্টর সি
১২.হ্যাগম্যান ফ্যাক্টর
১৩.ফাইব্রিন স্ট্যাবিলাইজিং ফ্যাক্টর
তবে এই ১৩ টি ফ্যাক্টরের মধ্যে চারটি ফ্যাক্টর রক্ত জমাট বাঁধায় মূল ভূমিকা পালন করে-
*ফাইব্রিনোজেন
*প্রোথ্রোম্বিন
*টিস্যু ফ্যাক্টর
*ক্যালসিয়াম
এরা মূলত তিনটি ধাপে রক্তকে জমাট বাঁধায়।ধাপগুলো হলো-
১.রক্তপাত শুরু হলে সবার প্রথমে প্রোথ্রোম্বিন এক্টিভেটর তৈরী হয়।
২.এই প্রোথ্রোম্বিন এক্টিভেটরের দ্বারা প্রোথ্রোম্বিন থ্রম্বিনে পরিণত হয়।
৩.এই থ্রম্বিন এবং ক্যালসিয়ামের উপস্থিতিতে দ্রবণীয় ফাইব্রিনোজেন অদ্রবণীয় ফাইব্রিনে পরিণত হয় এবং ফলস্বরূপ রক্ত জমাট বাঁধে।
অর্থাৎ, সাধারণ ক্ষেত্রে আমাদের শরীরের ব্যবস্থা নিজেই রক্তপাত বন্ধ করতে পারে।আর রক্তপাত বন্ধ হওয়ার পরপর হলুদ রং এর তরল বের হয়।একে বলা হয় সিরাম।
©দীপা সিকদার জ্যোতি