কৃত্রিম সংকট তৈরি করা না হলে এ দেশে খাদ্যসংকট হবে না বলে দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যা করণীয়, তার সবই করা হবে।
তিনি বলেন, প্রয়োজনে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি করে ভোক্তাকে স্বস্তিতে রাখা হবে। এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফা না করে ভোক্তাদের প্রতি মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান।
সোমবার সচিবালয় থেকে ‘বোরো ২০২২ মৌসুমে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও বাজার মনিটরিংসংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভায়’ ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বোরো সংগ্রহে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের দুর্নীতিমুক্ত থেকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। জুনের মধ্যে ৭০ শতাংশ সংগ্রহ শেষ করতে হবে। যেসব মিলমালিক চুক্তিবদ্ধ চাল আগে পরিশোধ করবেন, প্রয়োজনে তাঁদের আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে।
করপোরেট হাউস বাজার থেকে ধান-চাল কেনা শুরু করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারা কৃত্রিম কোনো সংকট তৈরি করছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। ভোক্তা যেন আতঙ্কিত না হয়, সে জন্য সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি ধান-চালের বাজারে নজরদারি বাড়াতে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ধান ও চাল সংগ্রহের সময় কোনো কৃষক কিংবা মিলমালিক যেন কোনোভাবে হয়রানি না হন, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ধানের আর্দ্রতা মাপার মিটার বা যন্ত্র দিয়ে কৃষকের ধানের আর্দ্রতা পরীক্ষা করে কৃষককে সহযোগিতা করতে পারেন। তিনি বলেন, কৃষকের বাড়িতে গিয়ে আর্দ্রতা পরীক্ষা করে ধানসহ কৃষককে গুদামে পাঠালে তাদের ভোগান্তি কমবে। বেশি আর্দ্রতা বা ভেজা ধান ফেরত নিয়ে গুদাম থেকে মন খারাপ করে ফিরতে হবে না।
মিলমালিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, গুণগত মানের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ না হলে সে চাল গুদামে পাঠাবেন না। চালের মানের সঙ্গে কোনো আপস হবে না।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলা প্রশাসকেরা, কৃষি বিভাগের উপপরিচালকেরা অংশ নেন।