আজ নিরামিশের প্ল্যাটার খিচুড়ি, বেগুন ভর্তা, মাছ ভাজা । বাঙালির ভীষণই পছন্দের এই চতুষ্টয় । আর সাধারণ এই খাবার বিদেশি টেলিভিশনে দেখে অনেকেই অবাক।তবে তা-ও আবার অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় রান্নাবিষয়ক রিয়েলিটি শো মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার মঞ্চে।
আর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রতিযোগী কিশোয়ার চৌধুরী খিচুড়ির সঙ্গে বেচিত্র্যময় আরও পদ নিয়ে হাজির হলে মুগ্ধ হয়ে যান বিচারকেরা। তবে তিন বিচারকের একজন মেলিসা লিওং সেদিন পরেছিলেন গাঢ় সবুজ প্যান্ট-টপ। আর কানে ছিল কমলা রঙের ঝুমকা। তবে গাঢ় সবুজ রং যেন ছড়াচ্ছিল আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার উদ্ভাস।
এব মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ত্রয়োদশ সিজনের ২৮তম পর্বে কিশোয়ারসহ ১১ জনকে ‘রহস্য বাক্স’ চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়। আর এ পর্বে সবাই পরবর্তী সপ্তাহে বাদ পড়া থেকে বাঁচতে লড়াই করেন। তবে প্রতিযোগিতার নানান অনুষঙ্গ ব্যবহার করে কিশোয়ার রান্না করেন এই খিচুড়ি, বেগুন ভর্তা আর মাছ ভা্জা প্ল্যাটার। তবে খিচুড়ির সঙ্গে অন্য পদগুলো নিয়ে বিচারকেরা ব্যাখ্যা করতে বলেন।
আমি একটি পাত্রে তিনজনের রাতের খাবার নিয়ে এসেছি কিশোয়ারকে এই পদ ত্রয়ী নিয়ে বলেন। তবে থাকছে বেগুন ভর্তা, খিচুড়ি আর মাছ ভাজা। যা আমি পরিবারের জন্য রান্না করতে পছন্দ করি সাধারণ খাবার।’তারপর সন্তানদের কথায় কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন কিশোয়ার। আর ছল ছল করে ওঠে তাঁর দুচোখ। অনেক দিন হয়ে গেল আমার সন্তানদের রান্না করে খাওয়াতে পারছি না তিনি বলেন ।’
এই খিচুড়ি প্ল্যাটার তারপরই একে একে বিচারকেরা চেখে দেখেন। সবগুলো পদ একটার সঙ্গে একটা মিশিয়ে খাওয়াটাই এই খাবারের আসল মজা বিচারক ও তারকা শেফ জক জনফ্রিলো বলেন। তবে যেমন বেগুন ভর্তা চরম স্বাদ পায় যখন খিচুড়ির সঙ্গে খাওয়া হয়। তবে তুমি অসাধারণ রাঁধুনি আর সুযোগ থাকলে আমি তোমার সন্তান হতে চাইতাম।’
আর খিচুড়ির চেয়ে মেলিসাকে বেশি আকর্ষণ করেছে মনে হলো বেগুন ভর্তা। তবে সর্ষের তেলের ঝাঁঝ, লাল মরিচের ঝাল আর বেগুন পোড়ার স্মোকি ফ্লেভার তাঁর রসনান্দ্রিয়কে মাত করেছে, তা বলাই বাহুল্য। আর তাই তো তিনি বললেন, ‘বেগুন ভর্তায় আমি পুরোপুরি অবসেসড। আর আমার কাছে এটা অবশ্যই স্পেশাল ডিশ।’
আমার জন্য সেরা ছিল খিচুড়িটা বিচারক অ্যান্ডি অ্যালেনের মতামতে ছিল। তবে এটি খুবই পরিপক্বভাবে রান্না করা হয়েছে। মাছটি ভাজার পরও নিজের রং ধরে রেখেছে আর সেই সঙ্গে । তবে আমার মনে হয় তোমার রান্না খাওয়ার জন্য আমাদের নতুন সন্তান হিসেবে নিতে পারো।’ আর বিচারকদের রায়ে ‘ইমিউনিটি’ পেয়ে যান কিশোয়ার। তবে পরবর্তী চ্যালেঞ্জ পর্বে তাঁকে অংশ নিতে হবে না।