‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল’-সকলের পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি প্রবচন।আগে সাধারণ মানুষের চোখে স্বাস্থ্যবান মানুষ বলতে মোটাসোটা মানুষকে বুঝানো হতো।কিন্তু বর্তমান এবং আধুনিক সংজ্ঞা মতে এর কোনো ভিত্তি নেই।আদর্শ দৈহিক ওজনের ২০% বা তার বেশি পরিমাণ মেদ দেহে সঞ্চিত হলে তাকে বলা হয় স্থূলতা। স্থূলতার ফলে দেহের ওজন স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়।
দেহের উচ্চতার সাথে ওজনের সামঞ্জস্য রক্ষা করার সুচককে বলা হয় BMI। এটি একটি নির্দিষ্ট বয়সে শরীরের উচ্চতার সাথে দেহের চর্বির পরিমাণগত সম্পর্ক নির্দেশ করে।
ছেলেদের ও মেয়েদের BMI নির্ণয়ের নিয়ম একই।আর তা হলো:
BMI=দেহের ওজন(কেজিতে)/উচ্চতা(মিটার২)
একজন মানুষের BMI মান ৩০ বা তার বেশি হলেই তাকে স্থূলকায় বা মোটা বলা যায়।
স্থূলতার কারণগুলোর মধ্যে কিছু কারণ হলো:চর্বিযুক্ত ফার্স্ট ফুড (যেমন: বার্গার,পিৎজা) খাওয়া,অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় পান করা, অপরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট না খাওয়া,বিষণ্ণতা,অতিরিক্ত ভোজন,কম হাটা,ঘুম কম হওয়া ইত্যাদি কারণে স্থূলতা দেখা দিতে পারে।এছাড়া স্থূলকায় বাবা মায়ের সন্তান প্রায় ৮০% ক্ষেত্রে স্থূলকায় হয়।
স্থূলতাকে ছোট করে দেখার কোনো কারণ নেই।একমাত্র স্থূলতার কারণেই মানুষকে অনেক ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে হয়।এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: করোনারি হৃদরোগ,টাইপ ২ ডায়াবেটিস, স্তন ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার,উচ্চ রক্তচাপ,বন্ধ্যাত্ব এবং এদের মত জটিল রোগ।
স্থূলতার ক্ষতিকর দিক কম নয়।তাই এ বিষয়ে সকলেরই সতর্ক থাকা উচিত।নিয়মিত ব্যায়াম করা,খাদ্য তালিকায় কম কলোরিযুক্ত খাবার ও শাকসবজি রাখা,কাজ শেষে পায়ে হেঁটে বাসায় ফেরা,মিষ্টি জাতীয় খাবার নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
Reporter: Fahima Fi Ne