উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী ও সুপ্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কারমাইকেল কলেজ। ১৯১৬ সালে বাংলার তৎকালীন গভর্ণর লর্ড ব্যারন কারমাইকেল এর হাত ধরে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। তাঁর নামানুসারে প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়। কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ ছিলেন জার্মান নাগরিক ড. ওয়াটকিনস। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পূর্ব পর্যন্ত কলেজটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল। দেশ বিভাগের পর প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরে ১৯৫৩ সালে থেকে নব-স্থাপিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ হয়। ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়।
৩০০ একর জমির উপর কারমাইকেল কলেজের সুবিশাল ক্যাম্পাস । উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রধান এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রাকৃতিকভাবেও যথেষ্ট দৃষ্টিনন্দন। বিপন্নপ্রায় বৃক্ষ প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত কাইজেলিয়া গাছটি সেই সাক্ষীই বহন করে। সবুজ প্রকৃতির অকৃত্রিম ভালোবাসা কলেজ চত্বরের প্রতিটি পদক্ষেপে। ছায়া সুনিবিড় এই বিশাল প্রাঙ্গনে রয়েছে একটি ক্যান্টিন, একটি মসজিদ, একটি মন্দির, ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হোস্টেল, বিভিন্ন বিভাগীয় ভবন এবং বিশাল দুটি খেলার মাঠ। ক্যাম্পাসের দক্ষিণে রংপুর ক্যাডেট কলেজ, উত্তরে রংপুর রেল স্টেশন ও ঐতিহ্যবাহী লালবাগ হাট। এবং চারপাশ ঘিরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ছাত্রাবাস। কারমাইকেল কলেজে মোট সাতটি আবাসিক হোস্টেল রয়েছে। তার মধ্যে ছাত্রীদের জন্য তিনটি এবং ছাত্রদের জন্য একটি হিন্দু হল সহ আরো তিনটি হোস্টেল রয়েছে। বর্তমানে কারমাইকেল কলেজে তিনটি অনুষদে আঠারোটি বিভাগ চালু আছে। বহুদিন ধরে উত্তরবঙ্গের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় কারমাইকেল কলেজ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।