মানুষের কথা,যানবাহনের হর্ন,পশুপাখির ডাক- আরও কত রকমের শব্দ আমরা প্রতিনিয়ত শুনে চলি।আমরা যদি বিভিন্ন শব্দ না শুনতে পারতাম তাহলে আমাদের চলাচল,জীবনযাত্রায় নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হত।আর এই সমস্যা রুখতে বিরাট ভূমিকা পালন করে আমাদের কান।কানের মাধ্যমে আমরা বিভিন্নরকম শব্দ শুনতে পাই।অবশ্য শব্দানুভূতি গ্রহণ করার পাশাপাশি আমাদের ভারসাম্য রক্ষা করাও কানের অন্যতম বড় দায়িত্ব।আজ আমরা আমাদের কান সম্পর্কে জেনে নেব।
মানব শরীরে দুইটি কান রয়েছে।প্রতিটি কানকে তিনটি করে অংশে বিভক্ত করা হয়েছে:
*বহিকর্ণ
*মধ্যকর্ণ
*অন্তকর্ণ
বহিকর্ণকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়-
১.অরিকল বা পিনা
২.বাহ্যিক একাউস্টিক মিটাস
আমাদের পিনায় বেশকিছু অংশ থাকে।যেমন-
*হেলিক্স: কানের সবচেয়ে বাইরের দিকে যে ভাঁজ
*এন্টিহেলিক্স: হেলিক্সের সামনের ভাঁজ
*ট্র্যাগাস
*এন্টিট্র্যাগাস
*ট্রাইঅ্যাঙ্গুলার ফসা: উপরের হেলিক্স এবং নিচের হেলিক্সের মধ্যবর্তী ভাঁজ
*স্ক্যাফয়েড ফসা: হেলিক্স এবং এন্টিহেলিক্সের মধ্যবর্তী ভাঁজ
*কংকা
*লোব/লোবিউল: তরুণাস্থি অংশ
কানের পর্দা সম্পর্কে আমরা শুনেছি।এটি অত্যন্ত পাতলা একটি পর্দা।এর নাম টিমপ্যানিক পর্দা।এই পর্দাটি বাহ্যিক একাউস্টিক মিটাস থেকে মধ্যকর্ণকে পৃথক করে রাখে।এটি ডিম্বাকৃতির হয়ে থাকে এবং এর ব্যাস প্রায় ৯-১০ মিলিমিটার।
টিমপ্যানিক পর্দায় রয়েছে দুইটি পৃষ্ঠ- বাইরের পৃষ্ঠ এবং ভেতরের পৃষ্ঠ।রয়েছে দুইটি অংশ- Pers tensa এবং Pers flaccida.
আর এই পর্দার রয়েছে তিনটি লেয়ার:
১.বাইরের দিকে রয়েছে কিউটিকুলার লেয়ার।
২.মধ্যে রয়েছে ফাইব্রাস লেয়ার এবং
৩.ভেতরের দিকে রয়েছে মিউকাস লেয়ার যা মূলত Low ciliated columner epithelium.
টিমপ্যানিক পর্দার কাজ হলো বাইরে থেকে আসা বাতাস এবং শব্দে কম্পন সৃষ্টি করে তা কানের পরবর্তী অংশে পৌঁছে দেয়া।
©দীপা সিকদার জ্যোতি