কর্ক কী দিয়ে তৈরি হয়?
শিশি বা বোতলের মুখ বন্ধ করার জন্য কর্ক ব্যবহার করা হয়। ওক গাছের ছাল থেকে কর্ক তৈরি করা হয়।
পর্তুগাল, স্পেন ও ইউরোপের অন্যান্য কয়েকটি অঞ্চলে ওক গাছ প্রচুর জন্মায়। তবে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার প্রভৃতি অন্যান্য কয়েকটি দেশেও ওক গাছ জন্মাতে দেখা যায়।
ওক গাছ দুই জাতের হয়ে থাকে। যেমন- কর্ক ওক এবং সাধারণ ওক। সাধারণ ওক গাছের ছাল অন্যান্য গাছের চেয়ে মোটা বটে। কিন্তু কর্ক ওকের চেয়ে পাতলা। সাধারণ ওক গাছের কাঠ শক্ত ও ভারী। তা দিয়ে গঠনমূলক কাজ এমনকি আসবাবপত্র পর্যন্ত তৈরি হয়।
আর গাছগুলো কর্ক ওক গাছ থেকে অধিকতর লম্বা হয়। কর্ক ওক গাছ লম্বায় এক একটি সাত থেকে ১২ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। গাছের বয়স 15 থেকে 16 বছর হলে তার গা থেকে প্রথমে ছাল ছড়িয়ে নেয়া হয়। এতে গাছের তেমন ক্ষতি হয় না। কিছুদিনের মধ্যেই আবার গাছের কান্ডের উপরে নতুন ছালের পর্দা দেখা দেয়। পুরো ছালটি উপরিভাগ থেকে সেঁচে ফেলে দিলে ভেতরের অংশ থেকে কর্ক তৈরি করা হয়।
একটি গাছ থেকে ১০০ থেকে ১১০ বছর ধরে ৭ থেকে ৮ বছর অন্তর অন্তর ছাল তোলা হয়। কর্ক দিয়ে যে কেবল সিসি বা বোতলের ছিপি তৈরি করা হয় তা নয়। কর্ক গুঁড়ো করে শক্তিশালী আঠার সাহায্যে মাখিয়ে পাইপ, শব্দ নিরোধক কাজ, বাতাস নিরোধক কাজ, যেমন- এয়ারকন্ডিশনার ও রেফ্রিজারেটরে ব্যবহার করা হয়। জুতোর তলায় প্রচুর পরিমাণে কর্ক ব্যবহার হয়। কর্ক খুব হালকা, সহজেই ভাসে। তার এই গুনের জন্য বড় বড় কর্কের টুকরো দিয়ে বিশেষ ধরনের নৌকা তৈরি করে পানিতে যাতায়াতও করা সম্ভব।
- তথ্য সংগ্রহেঃ মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া