আমাদের শক্তিমত্তায় আঘাত হানে ,করোনাভাইরাস সবার আগে । তবে এতে রোগী প্রথমেই দুর্বল অনুভব করতে শুরু করে দেয় । যত দ্রুত সাড়া দেবে তত ভয়াবহতার মাত্রা কমে আসবে তবে তখন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা । তবে এ সময় শরীরের নানা দিকে ভারসাম্য বজায় রাখা চাই । তবে এ দায়িত্বটা মূলত খাবার-দাবারের ওপরই । আর এক্ষেত্রে আবার গড়পড়তা পরামর্শ শুনে ‘বেশি বেশি খাওয়া’র পথে হাঁটলেই হবে না। তবে খাবারটাকে হওয়া চাই উপযুক্ত । তবে তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী কোভিডে আক্রান্ত হলে বা উপসর্গ দেখা দিলে যেসব খাবার খাওয়া উচিৎ হবে না সেগুলো হলো
১ . প্রক্রিয়াজাত খাবার ও অতিরিক্ত লবণ :
এতে লবণের পরিমাণ থাকে অনেক বেশি প্যাকেটজাত বা প্রক্রিয়াজাত খাবারের বড় একটা সমস্যা হলো । এতে অন্য জটিলতা বাড়বে দুর্বল শরীরে লবণ বেশি প্রবেশ করলে রোগীর বমি হতে পারে ও । তবে এ সময় রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বেশি ব্যস্ত থাকে বলেও অস্বাস্থ্যকর খাবারে পাকস্থলীতেও দেখা দিতে পারে ইফেকশন ।
২ . অতিরিক্ত চর্বি :
তবে স্যাচুরেটেড ফ্যাট আপনার খারাপ কোলেস্টেরল তথা এলডিএল বাড়িয়ে দেবে । আর এতে চাপ বাড়বে হৃৎপিণ্ডের ওপর। তবে কোভিডের চাপের সঙ্গে রক্তে চর্বি বেড়ে গেলে স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে অনেক । তবে এটাও আজকাল কোভিড রোগীদের একটা বড় মাথাব্যথার কারণ হতে পারে । কোভিড রোগী হয়ে থাকলে দৈনিক ক্যালরির ১০ শতাংশের বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট থেকে আসা উচিৎ নয় , তাই কোভিডে আক্রান্ত হলে বা লং । তবে এর পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন ডিম, আভোকাডো ফল, বাদাম এসব খাওয়া যেতে পারে বেশি করে।
৩ . ক্যাফেইন :
পানি থাকতে হয় পর্যাপ্ত কোভিড রোগীদের শরীরে । তবে ক্যাফেইন জাতীয় যাবতীয় পানীয় শরীরকে পানিশূন্য করে । যাবতীয় কোমল পানীয় এড়িয়ে চলা উত্তম আর তাই এ সময় চা, কফি খাওয়া যাবে না । তবে তারচেয়ে গ্লুকোজ পানি, ডাবের পানি, সবজি স্যুপ বা হলুদের গুঁড়া মেশানো হালকা গরম দুধ আপনার পানীয়র তৃষ্ণা তো মেটাবে, উল্টো শরীরে বাড়তি পুষ্টিও যোগাতে সাহায্য করে ।
৪ . অ্যালকোহল ও ধূমপান :
তবে এ দুটো তো সবসময়ই ক্ষতিকর। তবে এসময় এসব বদভ্যাস আপনার শ্বাসকষ্ট আরও বাড়িয়ে তুলবে আর কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তি যদি মদ্যপায়ী বা ধূমপায়ী হয়ে থাকেন । তবে এসময় ধূমপানে অক্সিজেনের মাত্রাও কমে আসবে মারাত্মক গতিতে । আর ফুসফুসের ক্ষতিতো বলাই বাহুল্য।