সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৯২ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের চেয়ে রোগী শনাক্তও কমেছে। আগের দিন ১৩৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন।আজ বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ১১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ। আগের দিন এ হার ছিল ১ দশমিক ২৭ শতাংশ। এর আগে গত সোম ও মঙ্গলবার পরপর দুই দিন দেশে করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। গতকাল বুধবার অবশ্য একজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
করোনায় দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৭২। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ১১৮ জন, সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৮৮০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১১৪ জন।২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয়। শুরুতে মৃত্যু অনিয়মিত থাকলেও ওই বছরের ৪ এপ্রিল থেকে করোনায় মৃত্যু ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। এর পর থেকে দুই বছর ধরে চলা এই মহামারিকালে গত বছরের ২১ নভেম্বর ও ৯ ডিসেম্বর—এই দুই দিন ছিল করোনায় মৃত্যুশূন্য।
শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনা সংক্রমণের চিত্রে কয়েক দফা ওঠানামা দেখা গেছে। দেশে করোনা পরিস্থিতি প্রায় সাড়ে তিন মাস নিয়ন্ত্রণে থাকার পর গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের প্রভাবে দ্রুত বাড়তে থাকে রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার। গত ৬ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজার ছাড়ায়। এর দুই সপ্তাহের মাথায় ২০ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্ত ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়।সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় দৈনিক রোগী শনাক্ত ১৫ হাজারের ওপরে উঠেছিল। ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা ১০ হাজারের ওপরেই ছিল। এরপর নিয়মিতভাবে রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার কমছে। দেশে করোনা সংক্রমণ কমায় আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। তুলে নেওয়া হয়েছে বিধিনিষেধ।