রংপুরে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে প্রশাসনের কার্যক্রম বেড়েছে। পুলিশ বাজার, রাস্তা ও মহাসড়কের যানবাহন ও লোকজনকে নিয়ন্ত্রণ করতে শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চেকপোস্ট স্থাপন করেছে।
জেলা প্রশাসন অবাঞ্ছিত মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে। তবে অল-আউট লকডাউনের প্রথম দিনের চেয়ে রংপুর শহরে মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে এবং লকডাউন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রংপুর মহানগর পুলিশের ট্রাফিক, অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ মঙ্গলবার রাত থেকে শহরে টহল দেওয়ার সহ সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে।
ট্রাফিক বিভাগের দুটি ইউনিট সড়ক ও মহাসড়কের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য শহরের 12 টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন করেছে। এছাড়াও মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ শহরে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সরকারী নির্দেশনা মাইকিং করে যারা শহর ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর কাজ করেছে। এদিকে, করোনারি হার্ট ডিজিজের ঝুঁকিতে থাকা রংপুর জেলায় স্বাস্থ্যকরন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বাজারে স্বাস্থ্যবিধি বিবেচনায় বিভিন্ন জরুরি পণ্য ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে।
আইন প্রয়োগকারী টহল বা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বাজার পর্যবেক্ষণের সময় প্রকৃতপক্ষে মুখোশ পরেছিলেন wearing আবার ফিরে গেলে অনেকে মুখোশটি খোলা রাখছেন। এদিকে, সরকার কাঁচামাল বাজারটি উন্মুক্ত স্থানে স্থানান্তরের নির্দেশ দিলেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রংপুরে তা কার্যকর করা হয়নি। শহরের কেন্দ্রস্থল ছাড়াও অন্যান্য বাজারগুলিতেও স্বাস্থ্য সুবিধা ছিল না।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ বলেছেন, মেট্রোপলিটন পুলিশ সরকারী নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছে। যারা স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ না করে বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন তাদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। প্রয়োজনে আমরা আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সচেতনতা বাড়াচ্ছি।