ঈদ সামনে রেখে এবার বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে রেকর্ডসংখ্যক মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে। গত বুধবার রাত ১২টা থেকে গতকাল শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় ২১ হাজার ৩৬০টি মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে।
একাধিক মোটরসাইকেলের চালক বলেন, যানজট হলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে না থেকে মোটরসাইকেলে গন্তব্যে যাওয়া অনেক সহজ হয়। তাই কিছুটা ঝুঁকি থাকলেও ঈদের ছুটিতে অনেকেই এবার বাড়ি যাচ্ছেন মোটরসাইকেলে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজা সূত্র জানায়, স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৫ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হয়। এর মধ্যে মোটরসাইকেল পারাপার হয় এক থেকে দেড় হাজার। প্রতিবছর ঈদের সময় সেতু দিয়ে অন্যান্য যানবাহনের মতো মোটরসাইকেল পারাপার বেড়ে যায়। কিন্তু এবার মোটরসাইকেল পারাপারে সব রেকর্ড ভঙ্গ হয়েছে।
গত শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৮ হাজার ১৭৪টি মোটরসাইকেল সেতু পারাপার হয়েছে। ১৯৯৮ সালের জুন মাসে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর এক দিনে এত বিপুলসংখ্যক মোটরসাইকেল এর আগে পারাপার হয়নি।
আগের দুই দিনও বিপুলসংখ্যক মোটরসাইকেল সেতু দিয়ে পারাপার হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত পারাপার হয় ৭ হাজার ৯৫৯টি মোটরসাইকেল। গত বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৫ হাজার ২২৭টি মোটরসাইকেল সেতু পারাপার হয়। এই তিন দিনে সেতু হয়ে মোট ১ লাখ ১৯ হাজার ১৯০টি যানবাহন পারাপার হয়। মোট পারাপার হওয়া যানবাহনের ১৭ দশমিক ৯২ ভাগ মোটরসাইকেল।
টোল প্লাজা সূত্র জানায়, অন্যান্য বছর টোল প্লাজার লেনে অন্যান্য যানবাহনের সঙ্গে মোটরসাইকেল টোল দিয়ে সেতু পার হতো। প্রতি ঈদেই দেখা গেছে, বড় বাস বা ট্রাককে পাশ কাটিয়ে মোটরসাইকেল টোল দিতে গিয়ে অনেক দুর্ঘটনা হতো। তাই এবার মোটরসাইকেলের জন্য পৃথক দুটি লেন করা হয়েছে। এতে নির্বিঘ্নে মোটরসাইকেল নিয়ে আরোহীরা পার হতে পারছেন।