আবেদনটি হলো, নিজ দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআইয়ের) ২০ জন ‘অবাধ্য’ সদস্যদের জাতীয় পরিষদ থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করা।
এই অবাধ্য সদস্যরা পিটিআই থেকে টিকেট নিয়ে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হলেও, তারা ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ও সেটিতে ভোট দিয়েছে।
ইমরান খান সুপ্রিম কোর্টের কাছে পাকিস্তানের সংবিধানের ১৮৪(৩) অনুযায়ী এ আবেদন করেছেন।
ইমরান খান তার আবেদনে বলেছেন, যদি কোনো দলের কোনো সদস্য ওই দলের বিপক্ষে যেতে চান তাহলে তার আগে তাকে জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। তারা যেহেতু এটি করেনি ফলে তাদের জাতীয় পরিষদ থেকে সারাজীবনের জন্য বহিস্কার করা হোক।
তাছাড়া অবাধ্য ও দলত্যাগী যে সকল সদস্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন তাদের ভোটও গণনা বৈধ হবে না বলে জানিয়েছে ইমরান খান। ফলে তাদের ভোট বাতিল ঘোষণা করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে ইমরান খান তার আবেদনে বলেছেন, একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সাংবিধানিকভাবে ও নৈতিকভাবে জাতীয় পরিষদের কোনো দলত্যাগ করতে পারেন না।
ফলে তাদের ভোট দেওয়ার কোনো অধিকার নেই। তাদের ভোট গণনাও করা যাবে না।
ইমরান খান তার আবেদনে আরও জানিয়েছেন, মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট আগেও জানিয়েছেন, রাজনীতিতে দল ত্যাগ করার বিষয়টি ক্যান্সারের মতো। গণতান্ত্রিক সরকারের যে মৌলিকতা সেটিই ধ্বংস করে দলত্যাগ।
ফলে এসব অবাধ্য ও দলত্যাগী সদস্যদের সংবিধানের ৬১(১)(এফ) ধারা অনুযায়ী আজীবনের জন্য বহিস্কার করে সঠিক বিচার প্রদান করুন।
সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন