একটি কোষ থেকে আরেকটি কোষ,সেই কোষ থেকে আরেকটি কোষ-এভাবে কোষবিভাজনের মাধ্যমে আমাদের কোষগুলো সংখ্যায় বৃদ্ধি পায়।তবে কোষ বিভাজনের আগে কোষে থাকা ডিএনএ গুলো সংখ্যায় বৃদ্ধি পায়।একটি ডিএনএ থেকে আরেকটি ডিএনএ তৈরী হওয়ার এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ডিএনএ রেপ্লিকেশন।বাংলায় একে বলে ডিএনএ অনুলিপন।
ডিএনএ অনুলিপনের জন্য বেশ কিছু উপাদানের প্রয়োজন পড়ে।যেমন-
১.সক্রিয় ডিঅক্সি নিউক্লিওসাইড ট্রাইফসফেট
২.ডিএনএ টেমপ্লেট
৩.ডিএনএ পলিমারেজ এনজাইম
৪.প্রাইমার
৫.ম্যাগনেসিয়াম আয়ন
৬.ডিএনএ পলিমারেজ সংশ্লিষ্ট প্রোটিন এবং এনজাইম
ডিএনএ পলিমারেজ সংশ্লিষ্ট এনজাইমগুলো হলো-
*প্রাইমেজ
*হেলিকেজ
*সিঙ্গেল স্ট্র্যান্ড বাইন্ডিং প্রোটিন
*টপোআইসোমারেজ
*ডিএনএ লাইগেজ
ডিএনএ অনুলিপনের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে।সেগুলো হলো-
★এটি একটি অর্ধসংরক্ষণশীল প্রক্রিয়া
★এটি একটি সুষম প্রক্রিয়া
★জিনোমের বিশেষ কিছু জায়গার অনুলিপন না হয়ে পুরো জিনোমেরই অনুলিপন ঘটে
★প্রাইমারের প্রয়োজন হয়
★ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে
★ডিএনএ পলিমারেজ এনজাইমের প্রুফ রিডিং ক্ষমতা থাকে
★এখানে ভুল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা না থাকায় পোস্ট রেপ্লিকেশনাল মডিফিকেশনের প্রয়োজন হয়না
★এখানে দুইটি স্ট্র্যান্ড থাকে যাদের একটি কোনো বাধা ছাড়াই চলে এবং অন্যটি বাধা পেয়ে পেয়ে চলে।বাধা ছাড়া চলা স্ট্র্যান্ডটিকে বলে লিডিং স্ট্র্যান্ড এবং অপরটি হলো ল্যাগিং স্ট্র্যান্ড।
ডিএনএ ডাবল হেলিক্সের যে জায়গা থেকে অনুলিপন প্রথম শুরু হয় সে জায়গাটিকে বলা হয় অরি।
অনুলিপন মূলত পাঁচটি ধাপে হয়ে থাকে।ধাপগুলো হলো-
1.Initiation
2.Elongation
3.Termination
4.Synthesis of new histone
5.Reconstitution of chromatin structure with histones
ডিএনএ অনুলিপন এর গুরুত্ব হলো এর ফলে জেনেটিক তথ্যগুলো এক জেনারেশন থেকে অন্য জেনারেশনে বাহিত হয়।
©দীপা সিকদার জ্যোতি