দ্বিধা-দ্বন্দের দোলাচলে
বেপরোয়াভাবে দুলছি আমি
একদণ্ড শান্তির খোঁজে;
কিন্তু মিলছে না কিছুতেই।
ভারাক্রান্ত মনে চলছে
কালবৈশাখীর তাণ্ডব।
নিজের ধ্বংসলীলা যেন
সচক্ষে দেখছি।
এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে
আমার আমিত্ব।
খুব সামান্য আশ্রয়
পাবার জন্য উৎকণ্ঠা আমি;
আশ্রয় মিলছে না কোথাও।
আমি যেন পাপের সমুদ্রের
অতলে তলিয়ে যাচ্ছি।
বাঁচার কোনো আশাই নেই।
তবুও দু’চোখে খুঁজে ফিরি
বাঁচার অবলম্বন।
কিন্তু আবারও আমি ব্যর্থ;
ব্যর্থ হয়ে নতমুখে ফিরে আসি।
এই বিশাল পৃথিবীতে কি
স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার মতো কিঞ্চিৎ
জায়গাও আর অবশিষ্ট নেই?
আজ আমি বড্ড শ্রান্ত, বড্ড ক্লান্ত।
জীবন বহিবার মতো আর
এতটুকুও জো নেই আমার তনু-মনে।
আমার ঠাঁই মিলবে কোথায়?
একটু জিরিয়ে নেবার স্থানও কি
আমার ললাটে জুটবে না?
আমি কি এতটাই অবাঞ্ছিত?
এতটাই মূল্যহীন?
কেন তবে জন্মালাম মানুষ হয়ে?
একটা গাছ কিংবা তার
শোভনীয় পাতা হয়ে জন্মাতাম যদি!
তবুও তো একটু ঠাঁই মিলতো।
দায় থাকতো না কোনো,
পাপের বোঝার নিদারুণ ভারে
অন্তত ন্যুব্জ হতে হতো না।
কলমে: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া