তবে এমন দাবি জানিয়েছেন ই–অরেঞ্জের ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা ই–অরেঞ্জের মালিকপক্ষ যেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও গ্রাহকদের সামনে বসে পণ্য বা টাকা ফেরত (রিফান্ড) দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয়। তাঁরা এ ব্যাপারে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন আজ বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের কাছে । বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আবেদনে তাঁরা পণ্য বা টাকা ফেরত পেতে।
আবেদনে বলা হয়েছে, ই–অরেঞ্জ তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে পণ্য বা টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে বারবার। আর তা বারবারই ভঙ্গ করছে। তবে পরের প্রতিশ্রুতিগুলো দিতে হবে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের সামনাসামনি বসে । তা সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে হবে মালিকপক্ষ গ্রাহকদের টাকা কীভাবে ফেরত দেবে এবং কত দিনের মধ্যে ফেরত দেবে । তবে পণ্য বা টাকা ফেরতের আলোচনার সময় সামার ভাউচার ও স্বপ্ন ভাউচারের টাকা ফেরতের লিখিত প্রতিশ্রুতিও দিতে হবে ।
আরও বলা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে কোনোভাবেই তার নড়চড় না হয় ই–অরেঞ্জের মালিক পক্ষের লিখিত বক্তব্য স্ট্যাম্পে দিতে হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমানের কাছে আবেদনপত্র জমা দেন সাগর সরকার নামের এক গ্রাহকের নেতৃত্বে চারজন গ্রাহক । তবে এর আগে তাঁরা গতকালের মতো আজও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেনছেন । ই–অরেঞ্জের কাছে আমরা গতকাল তথ্য-উপাত্ত চেয়েছি মো. হাফিজুর রহমান মুঠোফোনে আজ সন্ধ্যায় রংপুর ডেইলীকে বলেন । তবে আজ গ্রাহকদের আবেদনও এসেছে। আর প্রতিষ্ঠানটির তথ্য-উপাত্ত পেয়ে আমরা পরের পদক্ষেপ নেব।’
১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে তাহেরুল ইসলাম নামের এক ভুক্তভোগী গ্রাহক গতকাল মঙ্গলবার গুলশান থানায় মামলা করেছেন ই–অরেঞ্জের মালিকপক্ষ প্রতারণামূলকভাবে । গতকাল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত জামিন না দিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন মামলার আসামিদের মধ্যে ই–অরেঞ্জের মূল মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান ।
ই–অরেঞ্জ ডট শপ ই–অরেঞ্জের অফিশিয়াল নাম । তবে মাত্র দুই বছর আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয় তারা । ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই লাইসেন্সটি দেয় ডিএনসিসি তিন হাজার টাকা ফির বিনিময়ে । তবে ট্রেড লাইসেন্সের ফরমে ই–অরেঞ্জের মালিকের নামের অংশে উল্লেখ রয়েছে সোনিয়া মেহজাবিন, পিতা: শেখ আবদুস সালাম, মাতা: নাজমা সালাম। গতকাল মঙ্গলবার এক নোটিশ দিয়ে সাত দিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের সম্পদ, দায় ও চলতি মূলধনের পরিমাণ জানাতে বলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তবে এদিকে ই–অরেঞ্জকে ।