ইসলামোফোবিয়া Islamophobia বা ইসলামভীতি।
পশ্চিমা দুনিয়ায় এই শব্দটার যথেষ্ট মার্কেটিং হয়েছে।
ইসলাম ভীতির কোন ধর্ম না। শান্তির ধর্ম।
নবী করীম (সাঃ) যেদিন ইহুদীদের চরম মুনাফেকি আর ষড়যন্ত্রের কারণে মদিনা থেকে বের করে দেন সেই দিন থেকেই শুরু এই চক্রান্ত।
খুলাফায়ে রাশেদার ৩০ বৎসর,
উমাইয়া খিলাফতের ৯০ বৎসর,
আব্বাসিয় খিলাফতের ৫০৮ বৎসর ধরে কখনোই ইসলামের শত্রুরা নীরব ছিল না।
মিশরের ফাতেমিয়দের কার্যকলাপ, স্পেনের উমাইয়া শাসকদের শেষদিকের দুর্বলতা, এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ব্যাপি উসমানী সুলতানদের শাসনকালের পথ ধরে মুসলমানরা যেখানেই গিয়েছে ইহুদি-নাসারারা চক্রান্ত করে গেছে মুসলমানদেরকে কোণঠাসা করতে।
একদিকে মুসলমান শাসকদের নৈতিক অধঃপতন, ষড়যন্ত্র, অন্য দুই দিকের একদিকে চেঙ্গিস খানের ঝড়ো ব্যাটিং এবং ১২৫৮ সালে হালাকু খানের হাতে বাগদাদ ধ্বংস, অন্যদিকে পোপ আরবানের তুমুল বাগ্মিতায় ইউরোপজুড়ে সাংগঠনিক কাজের ফলে ক্রুসেডের মরণআঘাত।
সব একত্রে যখন মুসলমানদেরকে কোণঠাসা করে ফেলেছিল তখন আমরা হারানো অতীত পুনরুদ্ধারের চেষ্টা না করে, জ্ঞান বিজ্ঞান থেকে দূরে সরে নিজেদেরকে তিমিরে নিক্ষেপ করেছি।
শক্তিতে সমতায় না এসে হিংসাত্মক কাজ করে, আত্মঘাতী হয়ে আমাদের কিছু ভাইয়েরা ভুল পথে যেয়ে ইসলামের আরও ক্ষতি করেছেন।
পুরনো শত্রুতার সাথে আমরাই সন্ত্রাসবাদী উপাধি যোগ করতে সাহায্য করেছি।
ফল হিসেবে পশিমা দুনিয়া এখন Islamophobia শব্দের বাজারজাত করে
একটা স্থায়ী ট্যাগ লাগায়ে দিয়েছে আমাদের গায়ে।
বেশ কিছু ভিডিওর মাধ্যমে আমি ইসলামের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্তর ঐতিহাসিক ছবি তুলে ধরতে চেষ্টা করবো যা হয়তো অনেককেই তারিখে ইসলামিয়া জেনে একটা পরিষ্কার ছবি দেখতে সাহায্য করবে।