ইউক্রেন সংকটের একটি কূটনীতিক সমাধানের ব্যাপারে এখনো আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক ফোনালাপে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দুই নেতার মধ্যে প্রায় ৪০ মিনিট ফোনালাপ হয়।
ফোনালাপে দুই দেশের নেতা বলেন, ইউক্রেন সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের সব আশা শেষ হয়ে যায়নি। সংকট সমাধানে এখনো একটি সমঝোতা সম্ভব।তবে বাইডেন ও বরিস সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেন পরিস্থিতি এখনো নাজুক রয়ে গেছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপ আসন্ন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছে পশ্চিমারা। যুদ্ধ এড়াতে জোর কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে। এর মধ্যে সংকট সমাধানের বিষয়ে এখনো আশা না হারানোর কথা জানালেন বাইডেন ও বরিস।ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার এ সেনা মোতায়েনকে কেন্দ্র করেই ইউক্রেন আগ্রাসনের আশঙ্কা জোরালো হয়েছে। তবে রাশিয়া দাবি করে আসছে, ইউক্রেনে হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনা মস্কোর নেই।রুশ হামলার আশঙ্কায় এক ডজনের বেশি দেশ তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, যেকোনো সময় ইউক্রেনে রুশ বিমান হামলা শুরু হতে পারে।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিসের ফোনালাপের বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট।
বিবৃতিতে বলা হয়, উভয় নেতা তাঁদের মধ্যকার ফোনালাপে বলেছেন, ইউক্রেন সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে কূটনীতির গুরুত্বপূর্ণ উপায় এখনো আছে।ইউক্রেন সংকট নিয়ে বরিস ও বাইডেন বিশ্বের অন্য নেতাদের সঙ্গে সম্প্রতি যে আলাপ-আলোচনা করেছেন, তা তাঁরা পরস্পরকে অবহিত করেছেন।বাইডেন ও বরিস এ বিষয়ে একমত হয়েছেন যে ইউক্রেনের প্রতি রাশিয়া যে হুমকি তৈরি করেছে, তার সমাধান কূটনীতিক উপায়ের মাধ্যমে করা এখনো সম্ভব।