ইউক্রেনে বড় ধরনের আগ্রাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। এ ধরনের হামলার জন্য যে সামরিক শক্তি প্রয়োজন তার ৭০ শতাংশ ইতোমধ্যে মোতায়েন করেছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা পর্যালোচনা উদ্ধৃত করে দেশটির কর্মকর্তারা এ খবর জানান। খবর: বাসস।
এসব মার্কিন কর্মকর্তা সম্প্রতি কংগ্রেস এবং ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়েছেন।
তারা বলছেন, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া এক লাখ ১০ হাজার সৈন্য জড় করেছে। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আসলেই আগ্রাসন চালানোর পরিকল্পনা করেছেন কিনা এ বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ নিশ্চিত নয়।
কর্মকর্তারা আইনপ্রণেতাদের সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া যেভাবে সৈন্য সমাবেশ করছে তাতে মধ্য ফেব্রুয়ারি নাগাদ এ সংখ্যা প্রায় দেড় লাখে পৌঁছাবে, যা দিয়ে তারা পূর্ণ মাত্রায় হামলা চালাতে পারবে।
তবে তারা বলেন, পুতিন সব ধরনের বিকল্পই হাতে রাখতে চান। তিনি সীমিত থেকে শুরু করে বৃহৎ পরিসরেও হামলা চালাতে পারেন।
এদিকে রাশিয়া ইউক্রেনে যে কোনো ধরনের আগ্রাসনের পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা আরও বলছেন, রাশিয়া যদি পূর্ণ মাত্রার আগ্রাসন বেছে নেয় তাহলে তারা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজধানী কিয়েভ দখল এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদামিরকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে।
আর এ ধরনের হামলায় ২৫ থেকে ৫০ হাজার বেসামরিক লোক প্রাণ হারাবে। একই সঙ্গে পাঁচ থেকে ২৫ হাজার ইউক্রেন সৈন্য এবং তিন থেকে ১০ হাজার রুশ সৈন্য মারা পড়তে পারেন।
এছাড়া এ সংঘাতের কারণে শরণার্থীর বন্যা সৃষ্টি হবে। ১০ থেকে ৫০ লাখ লোক শরণার্থী হিসেবে মূলত পোল্যান্ডের দিকে ছুটবে।
এদিকে যে কোনো রুশ আগ্রাসন থেকে ন্যাটো সদস্যদের রক্ষায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পোল্যান্ডে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতোমধ্যে শনিবার সেখানে মার্কিন সৈন্যদের প্রথম দল পৌঁছেছে।