শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরের দিকে আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে এই ধাওয়া হয়।
স্থানীয়দের মতে, ছাত্রলীগের কিছু কর্মী ক্রিকেটের খেলা নিয়ে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে সবুজের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। এর জের ধরে ২ B এপ্রিল সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী সবুজের বাড়িতে গিয়ে অবমাননা ও পাথর নিক্ষেপ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
পরের দিন, ২ এপ্রিল সকালে সবুজের পরিবার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করসহ একাধিক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করের বিরুদ্ধে মামলা করা হলে পুরো ছাত্রলীগ ক্ষুব্ধ ছিল। শুক্রবার রাতে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। মামলা প্রত্যাহার না করা হলে ছাত্রলীগ সোমবার জেলায় ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়।
এদিকে, শনিবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে এরশাদ হোসেন জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে একদল আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে মিছিল বের করে। মিছিলটি দলীয় কার্যালয় পেরিয়ে গেলে ছাত্রলীগ তা তাড়া করে। দু’পক্ষের মধ্যে তাড়া শুরু হয়। দু’দিক থেকেই অস্ত্র মহড়া দেখে পুরো শহর আতঙ্কিত।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নগরীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ দুটি গ্রুপের মধ্যে অবস্থান নিয়েছে। মাটিয়ার গ্রুপ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এবং জাবেদ হোসেন বাক্কর গ্রুপ ছাত্রলীগের দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছে। আবারও পুরো শহর যে কোনও সময় একটি বড় সংঘর্ষে আতঙ্কিত।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। উভয় পক্ষকেই শান্ত করার চেষ্টা চলছে।