আলসার এই শব্দটি এসেছে গ্রীক এলকোস থেকে এসেছে যার অর্থ হলো “ক্ষত”।আলসার হলো পাকস্থলী বা অন্ত্রের ক্ষত।দীর্ঘদিন ধরে খাদ্য গ্রহণের অনিয়ম হলে পাকস্থলীতে এসিডের আধিক্য ঘটে;দীর্ঘদিন ধরে এমন চলতে থাকলে পাকস্থলীতে ক্ষত সৃষ্টি হয়;একে গ্যাস্ট্রিক আলসার বলে। ক্ষুদ্রান্ত্রের ভিতর ডিওডেনাম নামক অংশে এটি হয়ে থাকে যা সাধারণত পেপটিক আলসার নামে পরিচিত।
আমাদের পেটের পাকস্থলীতে থাকে হাইড্রোক্লোরিক এসিড।এটি আমাদের হজমে সাহায্য করে যখন তা খাদ্যনালীর আস্তরণের ক্ষতি করে তখন আলসার হয়। এছাড়াও পেটে হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি নামক একটি ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি এবং অ্যাসপিরিন নামক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ব্যথা রিলিভার্স ঔষধের অতিরিক্ত সেবনের কারণেও এটি হয়ে থাকে।
গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে পেটের মাঝখানে ব্যাথা করে,খালিপেটে কিংবা তেলজাতীয় খাবার খেলে ব্যাথা বাড়তে পারে,অনেক সময় বমি হয়,বদহজম হয়,মলের সাথে রক্ত বের হয়।এছাড়া দেহের ওজন কমে যাওয়া,ব্যথার কারণে না খাওয়া,ঘন ঘন ঢেকুর ওঠা,পেট ফুলে যাওয়া ইত্যাদি গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ।
গ্যাস্ট্রিক আলসার প্রতিকারে যা যা করতে হবে তা হলো:নিয়মিত সহজপাচ্য খাবার গ্রহণ করতে হবে,অতিরিক্ত তেল ও মশলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।চা,কফি,সিগারেট ইত্যাদি পরিহার করতে হবে,নিয়মিত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।