আমাদের মুখে মোট তিন জোড়া বা ছয়টি লালাগ্রন্থি রয়েছে।সেগুলো হলো প্যারোটিড গ্রন্থি, সাবলিঙ্গুয়াল গ্রন্থি এবং সাবম্যান্ডিবুলার গ্রন্থি।এর মধ্যে সবচেয়ে বড় লালাগ্রন্থির নাম প্যারোটিড গ্রন্থি।আজ আমরা প্যারোটিড গ্রন্থি নিয়ে জানব।
প্যারোটিড গ্রন্থি একটি বহিঃক্ষরা গ্রন্থি।কারণ এখানে নালি থাকে।এই নালির মাধ্যমে এই গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত পদার্থ দূরবর্তী স্থানে গিয়ে কাজ করে।এছাড়াও প্যারোটিড গ্রন্থিকে সেরাস ধরনের গ্রন্থি এবং কমপাউন্ড টিউবুলো এলভিওলার গ্রন্থি বলা যায়।এটির আকার একটি বিপর্যস্ত পিরামিডের মত।
প্যারোটিড গ্রন্থির ওজন ২৫ গ্রাম।দুই ধরনের ক্যাপসুলে গ্রন্থিটি আবৃত থাকে।
*সত্য ক্যাপসুল
*মিথ্যা ক্যাপসুল
প্যারোটিড গ্রন্থিতে উপস্থিত অংশগুলো হলো-
*শীর্ষ
*মূল
*তিনটি বর্ডার:
-সামনের বর্ডার
-পেছনের বর্ডার
-মাঝের বর্ডার
*তিনটি পৃষ্ঠ
-সুপারফিশিয়াল
-এন্টেরোমিডিয়াল
-পোস্টেরোমিডিয়াল
এপেক্স এর মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে-
*ফেসিয়াল স্নায়ুর সারভাইকাল শাখা
*রেট্রোম্যান্ডিবুলার শিরার সামনের এবং পেছনের শাখা।
প্যারোটিড গ্রন্থিতে উপস্থিত থাকে-
*ফেসিয়াল ধমনী
*রেট্রোম্যান্ডিবুলার শিরা
*ফেসিয়াল স্নায়ু
এই ফেসিয়াল ধমনীটি মূলত এক্সটার্নাল ক্যারোটিড ধমনীর একটি শাখা।
আর রেট্রোম্যান্ডিবুলার শিরাটি সুপারফিশিয়াল টেম্পোরাল শিরা এবং ম্যাক্সিলারি শিরার সমন্বয়।
আর ফেসিয়াল স্নায়ুটি এর বিভিন্ন শাখার মাধ্যমে হাঁসের পায়ের মত গঠন প্রাপ্ত হয়।
প্যারোটিড গ্রন্থি দুইভাবে স্নায়ু সংবহন পায়।
১.সিমপ্যাথেটিক সংবহন
২.প্যারাসিমপ্যাথেটিক সংবহন
প্যারোটিড গ্রন্থিতে থাকা নালিটি হলো প্যারোটিড নালি।এটি প্রায় ৫ সেন্টিমিটার লম্বা।এই নালিটি ম্যাসেটর নামক মাসলের উপর দিয়ে যায়।তারপর এটি অতিক্রম করে:
-Buccal pad of fat
-Bucco-pharyngeal muscle
-Bucconator muscle
-Mucous membrane
তারপর এটি মুখে দ্বিতীয় মোলার দাঁতের উল্টোদিকে এসে ওপেন করে।
©দীপা সিকদার জ্যোতি