লোহিত রক্তকণিকায় থাকা প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হলো হিমোগ্লোবিন।এর জন্যই লোহিত রক্তকণিকার রং লাল হয়ে থাকে।এই হিমোগ্লোবিন রক্তকে লাল করার পাশাপাশি অক্সিজেনও পরিবহন করে থাকে।
হিম ও গ্লোবিনের সমন্বয়ে তৈরী হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বয়স ও লিঙ্গভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
নবজাতকে এর পরিমাণ ২৩ গ্রাম/ডেসিলিটার
শিশুতে ১২ গ্রাম/ডেসিলিটার
প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষে ১৪-১৮ গ্রাম/ডেসিলিটার
প্রাপ্তবয়স্ক নারীতে ১২-১৬ গ্রাম/ডেসিলিটার
সাধারণত নারীর তুলনায় পুরুষের দেহে বেশি পরিমাণে হিমোগ্লোবিন থাকে।কারণ পুরুষের দেহে থাকা টেস্টোস্টেরন নামক হরমোন লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়ায়।ফলে হিমোগ্লোবিনও বেশি থাকে।
হিমোগ্লোবিনের মূল কাজ কিন্তু লোহিত রক্তকণিকার মতই।অর্থাৎ, এটি ফুসফুস থেকে অক্সিজেন নিয়ে এসে সারা টিস্যুতে দেয় এবং টিস্যু থেকে কার্বনডাইঅক্সাইড নিয়ে ফুসফুসে দেয়।এছাড়াও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রক্তের বাফার হিসেবে কাজ করে এবং রক্তে এসিড-ক্ষারের সমতা রক্ষা করে।হিমোগ্লোবিন থেকে অন্যান্য রঞ্জক পদার্থও তেরী হতে পারে,যেমন- বিলিরুবিন, স্টারকোবিলিন, ইউরোবিলিন ইত্যাদি।হিমোগ্লোবিন এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো এটি আয়রন ও প্রোটিন সংরক্ষণ করে রাখে।
হিমোগ্লোবিন দুই ধরনের হতে পারে-
*ফিজিওলজিকাল হিমোগ্লোবিন এবং
*প্যাথোলজিকাল হিমোগ্লোবিন।
ফিজিওলজিকাল হিমোগ্লোবিন এর মধ্যে আছে হিমোগ্লোবিন এ, হিমোগ্লোবিন এ-টু ও হিমোগ্লোবিন এফ(এটি ভ্রূণে থাকে)।
প্যাথোলজিকাল হিমোগ্লোবিন এর মধ্যে আছে হিমোগ্লোবিন এস, হিমোগ্লোবিন সি, হিমোগ্লোবিন ডি, হিমোগ্লোবিন ই, হিমোগ্লোবিন এম।
হিমোগ্লোবিন এস এবং হিমোগ্লোবিন সি কে অস্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন বলা হয়।
©দীপা সিকদার জ্যোতি