নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। অভিযোগ করা হয় যে কাদের মির্জার সাত জন অনুসরণকারীকে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছিল সে সময়।
শনিবার রাত ৮ টার দিকে কাদের মির্জা ও বাদলের অনুসারীদের মধ্যে বসুরহাট পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের হারানগোর বাড়ির সামনের রাস্তায় এই গোলাগুলি হয়।
আহতরা হলেন- ৪ নং ওয়ার্ডের শামসুল হকের ছেলে সবুজ (৪০), জিসান (২৩), নূর আহমেদের ছেলে, মোহাম্মদ সানি, ২৮, দেলোয়ার হোসেন সুমন (২,), চরকনকরা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের এনামুল হকের ছেলে এবং নাটুন। চরকানকাড়া ইউনিয়নের বাজার এলাকা। মোশাররফ হোসেনের ছেলে দিদার (৩৫) এবং আরও সাতজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা থেকে কাদের মির্জার অনুসারীরা কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও বসুরহাট পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে তার পক্ষে মিছিল করে যাচ্ছেন। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে কাদের মির্জার অনুগামীরা বসুরহাট পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে মিছিল করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলিবর্ষণ শুরু হয়। কাদের মির্জার সাত জন অনুসরণকারীকে গুলি করে আহত করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত বাদল অনুসারীর কাউকে আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাতজনকে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে। তারা কাদের মির্জার অনুসারী বলে জানা গেছে।
তিনি আরও জানান, আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত একজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।