কিছুদিন আগেই ভারতের স্থলভাগে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় তাউটি।এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় কর্ণাটক রাজ্যের ৭৩ টি গ্রাম।এই ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আগে আবার শোনা গেলো নতুন এক ঘূর্ণিঝড়ের আভাস,নাম ‘যশ’।চলতি সপ্তাহের যেকোনো সময়ে ঘূর্ণিঝড়টি প্রবলভাবে সুন্দরবনে আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।ঘূর্ণিঝড়টি এই মুহূর্তে শক্তি বাড়াচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
গতবছর ভারতে ২০ মে আঘাত হেনেছিল বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আম্ফান যা পুরো কলকাতা শহরকে লন্ডভন্ড করে দিয়েছিল।তার ঠিক একবছর পরেই আবার নতুন করে ফিরে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান যার নাম ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’।
ভারতের আবহাওয়াবিদ জানান,”এইবার ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ গত বছরের আম্ফানের মতো সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে, ভয়াবহ শক্তি নিয়ে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।আমরা এখন ঘূর্ণিঝড়টির গতিবিধির দিকে খেয়াল রাখছি।”এছাড়া ভারতের আলিপুর আবহাওয়া অধিদফতর জানায়,বঙ্গোপসাগর এবং আরবসাগরে একসাথে দুইটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হচ্ছে।যার একটি আগামী ২৩ থেকে ২৫শে মে’র মধ্যে বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী যেকোনো এলাকায় আছরে পড়তে পারে।এটিই ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’।এর জন্য মৎস্যজীবীসহ উপকূলবর্তী সংলগ্ন এলাকার মানুষদের সতর্ক করা এবং মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।এবং যেসকল মৎসজীবী সমুদ্রে গিয়েছে তাদেরকেও ২২ থেকে ২৫ শে মে র মধ্যে ফিরে আসতে নির্দেশ দেন।এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণসামগ্রী, খাদ্য, ওষুধ প্রভৃতি প্রয়োজীয় বিষয়গুলো নিরাপদ জায়গায় মজুদ করে রাখতে বলেন তিনি।