আপনি কি জানেন যে আপনার অন্তরের অনেকগুলো আমল আছে?
অন্তরের আমল ? সেটা কি?
অন্তরের আমল হচ্ছে:
তাওয়াক্কুল করতে পারা, আল্লাহর উপরেই ভরসা দৃঢ় রাখা, আল্লাহর ব্যাপারে সুধারণা রাখা, আল্লাহকে ভালোবাসা, আল্লাহ যাদেরকে ভালোবাসেন, তাদের ভালোবাসা, আল্লাহ বান্দার কল্যাণের জন্য যে নিয়ম কানুন ঠিক করে দিয়েছেন, সেই নিয়মগুলোকে ভালোবাসা (যদিও ক্ষেত্রবিশেষে আমরা নিয়ম গুলো সব পালন করতে পারি না, তখনও সেগুলোর প্রতি মহব্বত রাখা অন্তরের গুরুত্বপূর্ণ আমল)।
অন্তরের কাজের ব্যাপারে সচেতন না হলে আত্মশুদ্ধি অর্জন করা খুবই কঠিন!
জুনায়েদ (রহ.) বলেছেন, “তাওহীদ হলো অন্তরের কথা আর তাওয়াক্কুল হল অন্তরের কাজ!”
ঈমান এমন একটি বিষয় যেটা শুধু জানলেই হবে না, সেই অনুসারে অন্তরকে আমলও করা লাগবে। অন্তরের আমল চলতে চলতে একসময় দৃঢ় ইচ্ছার সাথে পূর্ণ শক্তি যুক্ত হয় এবং তখনই মানুষ অন্তরের আমলের সাথে সাথে বাস্তবেও নেক আমল করতে পারবে। আবার ইচ্ছার কমতি থাকলে, অন্তরের আমলের অভাব থাকলে সেটা আর বাস্তবায়িত হবে না, বান্দা ব্যর্থ হয়ে যাবে।
কিন্তু অন্তরের আমল, দৃঢ় ইচ্ছা এবং পূর্ণ শক্তি রাখলে অবশ্যই বান্দা নেক আমল করে সাফল্যের পথে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
সেজন্য যে কোন বিষয়ে অন্তরের শুধু ইলম থাকলেই চলবে না, ঐ অনুসারে অন্তরের আমলটাও রাখতে হবে। হাতে-কলমে আমল এর পাশাপাশি অন্তরের আমল দিয়ে সচেতন হওয়াও জরুরী!
রাসূল(স) চমৎকার একটা দুয়া করতেন তার অন্তরের আমল সংক্রান্ত,
“হে আল্লাহ, অনোপকারী ইলম, অতৃপ্ত মন, অগ্রহণযোগ্য দুআ এবং অবিনয়ী অন্তর থেকে আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই!”
ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেছেন,
“অন্তর যখন জানবে মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসূল, এই জানার সাথে সাথে যদি মুহাম্মদের (সা) প্রতি অন্তরে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা তৈরী না হয়, এবং অহংকারবশত রসূলের অনুসরণ না করে ঐ ব্যক্তি আর মুমিন হতে পারল না, সে কাফের রয়ে গেল।”
অনেক সময় অন্তর আল্লাহকেও ভালোবাসে! আবার তার পাশাপাশি অন্যান্য জিনিসকেও ভালোবাসে, যেভাবে শুধু আল্লাহকে ভালোবাসা উচিত!
আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেছেন,
“কতক মানুষ অন্য কিছুকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করে; এবং সেসবকে ভালোবাসে আল্লাহকে ভালোবাসার মতো করেই। অথচ মুমিনরা সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে আল্লাহকে!”
(সূরা বাকারাহ: আয়াত ১৬৫)
________
অন্তরের আমল
রেফারেন্স: বই “রূহের চিকিৎসা”
লিখেছেন: শারিন শফি অদ্রিতা