তবে আপনার সম্পর্কের মাঝে যত রাগ-অভিমান থাকে তার সবটুকু দোষ কি একজনের ঘাড়েই চাপে? আর হয় আমার দোষ নয়তো কারও না, এই নিয়ম মেনেই কি আপনার চলতে হয়? এই প্রতিবেদন আপনার জন্য তাহলে অবশ্যই ।তবে আজকের আপনি যদি মনে করেন, এসব অতি যত্নের খাতিরে হচ্ছে ।নিজের প্রেমিকে আসলেই প্রেমিকা হিসেবে আপনি বেশি যত্নবান নাকি জীবন বীভৎস করছেন তা আসুন জেনে নিন-
১) বন্ধুদের সাথে যাবার আগে একবার হলেও আপনার পারমিশন নিতেই হবে কফি পান করুক বা শপিং, ঘুরতে যাক বা খেলতে? তবে ভুলে যদি সে পারমিশন নিতে ভুলে যায়, তাহলে ঝগড়া যেন আর শেষ হয় না। আর একটা না বলা রুলসে আপনাদের সম্পর্ক চলছে। তবে সে যাই করুক না কেন, তা আপনাকে বলেই করতে হবে। তা না হলে নয়ত আপনার রাগের সীমা থাকবে না।
২)আর আপনার ডিকশনারিতে ক্ষমা নামের কোনও শব্দই যেন নেই। আপনি সবসময় সঠিক আপনি মনে করেন।সেটার জন্য তাকেই মাফ চেয়ে ফিরতে হয় আপনার কাছে কোন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হলে । আর এরকম অভ্যাস কখনও সম্পর্কের জন্য ভাল হয় না।
৩) কোন চিহ্ন আপনি রাখেন নি তার নিজের ব্যক্তিত্বের ।আপনি যখন-তখন দেখেন তার ম্যাসেজ বক্স । আর তাকে কখনও আপনি একা ছাড়তে চান না।আর যখন সে বন্ধুদের সাথে কিছু সময় ব্যয় করতে চান, তখনও তাকে জ্বালাতন করতে ছাড়েন না , তার জন্য একের-পর এক কাজ প্রস্তুত রাখেন ।
৪) আর তার প্রতিটি টাকার হিসাব আপনি রাখেন। সে যেন আপনাকে জিজ্ঞেস করে কিনে এমনটাই আপনি চান যে কোন কিছু কেনার আগে । তাহলে তা অযোগ্য বলে ঝগড়া করতেও আপনার বাঁধে না আর ভুল করে যদি সে না বলে কিছু কিনে ফেলে তো ঝগড়া শেষ নেই।
৫) সেটাই আপনার কাম্য সে যেন তার সকল কাজ সঠিকভাবে পালন করে। আর ছুটির দিনেও সে যেন আপনার দেয়া কাজ করেই কাটায়, আপনি কাজ প্রস্তুত করে রাখেন সে আশায় সাড়া সপ্তাহ তার জন্য । তবে আর সে যদি এর কোনও একটা পূরণ না করে, তাহলেই শুরু হয় রাগারাগি।
আর উপরের এই ৫ বিষয় যদি আপনার সাথে মিলে যায়, তাহলে এখনি নিজেকে বদলে ফেলতে শুরু করুন। নয়ত আপনার প্রেমিক কখন যেন আপনাকে বদলে ফেলে, সেই অপেক্ষায় থাকুন।